।।ওসি পরিতোষ দাস।।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৬জানুয়ারি।।
                 সীমান্তবর্তী সোনামুড়া থানাতে চোর পুলিশের খেলা চলছে,পুলিশ ও নেশা কারবারীর মধ্যে। সবটাই লোক দেখানো। পুলিশ নেশা সামগ্রী আটক করে। আবার ঘুর পথে এই মাদক দ্রব্য চলে কারবারীদের হাতে। মাঝখানে ভিলেন হচ্ছে “সোর্স”। খবরিলালের নাম করে রেখে দেওয়া মাদক দ্রব্যই পুনরায় কারবারীদের নিরাপদ ডেরায় চলে যায়। তাও আবার খোদ পুলিশই পৌঁছে দেয়,নিজেদের গাড়ি করে। সোনামুড়া থানায় চলতে থাকা এই রমরমা নেশা কারবার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কর্মরত পুলিশ কর্মীরা। কিন্তূ কেউ টু – শব্দ করতে নারাজ।কারণ সমস্ত ঘটনার কুশীলব খোদ “জাঁদরেল”(!) থানাদার পরিতোষ দাস।
                 সোনামুড়া থানায় কান পাতলেই শোনা যায়, ওসি পরিতোষ দাসের মাদক কারবারের নেটওয়াকের উপাখ্যান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়। তখনই শুরু হয় নগ্ন খেলা। প্রতিটি অভিযান থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক দ্রব্যের অর্ধেক রেখে দেন ওসি সাহেব। তার যুক্তি, রেখে দেওয়া মাদক দ্রব্যগুলি দেওয়া হবে “খবরিলাল”কে। এটা পুলিশের রেওয়াজ। এখানে দোষের কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সোর্স বা খবরিলালের নাম করে রেখে দেওয়া মাদক দ্রব্য ঘুর পথে চলে যায় মাদক মাফিয়াদের ডেরায়। বিনিময়ে মোটা অঙ্ক হাতিয়ে নেন ওসি পরিতোষ দাস। থানাদার সম্পর্কে এই অভিযোগে খোদ থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মীদের।


গত কয়েকমাস আগে সোনামুড়া কুলুবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল নয়শ কফ সিরাপের বোতল। তার মধ্যে চারশ বোতল সোর্সকে দেওয়ার নাম করে বগল দাবা করেছিলেন ওসি পরিতোষ দাস। সম্প্রতি এক বাড়ি থেকে ১৬ লক্ষ টাকা নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইন্সপেক্টর পরিতোষ দাসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। পুলিশ একাউন্টটিবিলিটি কমিশনেও পৃথক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছে টাকার মালিক। সম্প্রতি এই মামলাতেও আদালতে জোর ধাক্কা খেয়েছেন থানাদার তার বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগ। তারপরও কেন জেলা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না? প্রশ্ন জনমনে।
            সোনামুড়া থানার ওসি ইনস্পেক্টর পরিতোষ দাস মাঝে মধ্যে গাঁজা বিরোধী অভিযান করে থাকেন। কেটে ফেলে দেন গাঁজা গাছ। ওসি পরিতোষ কাদের গাঁজা গাছ কাটেন? কেন অভিযান চালান? এই প্রশ্নের সটান উত্তর দিয়েছেন স্থানীয় এক গাঁজা চাষী। প্রতি প্রতি চারাতে চাষীরা ১০ টাকা করে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এখন এই টাকাতে সন্তুষ্ট নন ওসি পরিতোষ দাস। তার চাহিদা গাঁজা প্রতি চারাতে কুড়ি টাকা। যে সমস্ত গাঁজা চাষী থানাদারের চাহিদা মতো টেক্স দিতে অনীহা প্রকাশ করে,তাদের বাগানেই ঝাঁপিয়ে পড়েন “জাঁদরেল”(!) ইন্সপেক্টর পরিতোষ দাস। অভিযানের পর গাঁজা চাষীরা বাড়িয়ে দেয় “জিজিয়া” করে পরিমাণ। অর্থাৎ তোলার বাড়ানোর জন্যই গাঁজা ক্ষেতে অভিযান চালিয়ে সাধারণ মানুষ ও দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের চোখে গোলক ধাঁধা লাগিয়ে দেয়।
          


জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, জেলার পুলিশ সুপার জগদীশ্বর রেড্ডির সঙ্গে ওসি সাবেহের গভীর সম্পর্ক। তাই ওসি অপরাধ করলেও তিনি নাকি দেখেন না। অন্তরালে কোন রহস্য? গুঞ্জন গোটা সিপাহীজলা পুলিশের অন্দর মহলে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *