বাংলাদেশ ডেস্ক,১৬ জানুয়ারি।।
নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে বাংলাদেশে ক্ষমতায় এসেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দলের নেতৃত্ব নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করে থাকেন। কিন্তু বঙ্গ বন্ধুর দল পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তাদের অসাম্প্রদায়িক মুখ খসে পড়ছে প্রতিদিন। কারণ এই দলের নেতাদের সফট টার্গেট ওপারের হিন্দু “বাঙালি”। হিন্দুর নিধন যজ্ঞ চালিয়ে তারা উপভোগ করে অতিরিক্ত আনন্দ। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে এই সমস্ত ঘটনার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর হিন্দুদের উপর অত্যাচারের স্টিম রোল আরো বেড়ে যায়। দাবি ওপারে বসবাসকারী হিন্দুদের। স্থানীয় হিন্দু জন গোষ্ঠীর লোকজনের বক্তব্য, সীতাকুন্ড ৪ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত গুলিয়াখালী অঞ্চলে একটি কালী মন্দির রয়েছে।
সোমবার রাতে এই কালী মন্দিরে গঙ্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছিলো।পূজা চলাকালীন উগ্র মুসলিমদের একটি দল কালী মন্দিরে অতর্কিত হামলা চালায়। হিন্দু ধর্ম বিরোধী দুষ্কৃতীরা গঙ্গা পূজার সমস্ত উপকরণ ভেঙে চুরমার করে দেয়। আক্রমণ করে উপস্থিত লোকজনকে। তারা ভয়ে মন্দির প্রাঙ্গন থেকে পালিয়ে গিয়ে কোনো রকমে প্রাণ রক্ষা করেন।
মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম আইনী পদক্ষেপ নেয় নি বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ভোটের প্রাক লগ্নে উগ্র মুসলিমরা দখল নিয়েছিলো সীতাকুণ্ডর চন্দ্রনাথ মন্দির। শিব মন্দিরে বসে এরা আজান দিয়েছিলো। মন্দির চত্বরে খেয়ে ছিলো গো – মাংস। উড়িয়েছিল ইসলামিক পতাকা। শেষে জাগো হিন্দু পরিষদের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে গিয়েছিলো। উগ্র মুসলিমরা রক্তাক্ত করেছিলো মন্দির চত্বর। আর নির্বাচন শেষ হতেই হিন্দুদের উপর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নির্যাতন। এটাই কি শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ? প্রশ্ন তুলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা হিন্দু বলয়ের লোকজন।