
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৪সেপ্টেম্বর।।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসবকেও ছাড়ছেন না খোয়াই মণ্ডলের বিজেপির বাহুবলী, তোলাবাজ নেতারা। যাদব সমিতির আয়োজিত জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মেলাতে বল পূর্বক জুয়ার আসর বসিয়েছে বিজেপির মণ্ডল নেতারা।বিনিময়ে প্রতিদিন তাদের পকেটে পৌঁছে যাচ্ছে অর্থ রাশি। অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন খোয়াই মণ্ডলের সভাপতি মহামান্য সুব্রত মজুমদার। খবর, প্রতিদিন জুয়ার বোর্ড থেকে সুব্রত মজুমদারের পকেটে পৌঁছে যাচ্ছে ২০ হাজার টাকা। খোয়াই শহরে কান পাতলেই শোনা যায় মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারের নানান অপরাধের উপাখ্যান।

প্রতি বছরের মতো এবারও খোয়াই শহরে অনুষ্ঠিত হয় জন্মাষ্টমী উৎসব।আয়োজক যাদব সমিতি। খোয়াই মণ্ডল অফিসের সামনেই জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বসেছে মেলা। কিন্তু এই মেলা বিজেপি নেতাদের কু-নজরে পড়ে। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার যাদব সমিতির লোকজনকে ডেকে এনে জানিয়ে দেন, তিনি মেলাতে জুয়ার বোর্ড বসাবে। যাদব সমিতির লোকজন তাতে রাজি হন নি। তখনই মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার চোখ লাল করে জানিয়ে দেন, “তিনি যা চাইবেন, এটাই হতে হবে।অন্যথায় জন্মাষ্টমী উৎসবও করা যাবে না।” স্বাভাবিক ভাবেই যাদব সমিতির লোকজনও সিটিয়ে যান, বিজেপির তোলাবাজ নেতা সুব্রত মজুমদারের রক্ত চক্ষুর ভয়ে।

বিজেপির খোয়াই মণ্ডল কার্যালয়ের সামনে চলছে জুয়া খেলা। জুয়ার বোর্ডের টানে বিপথগামি হচ্ছে মানুষ। তারা হচ্ছে সর্বশান্ত।রাজনৈতিক নেতা তথা খোয়াই মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার নিজেকে সমাজ সেবক হিসেবে জাহির করে থাকেন। আর এই ভেকধারী সমাজ সেবকই এখন গোটা সমাজ ব্যবস্থায় বিষ ঢেলে দিচ্ছেন।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, খোয়াই বিজেপির নেতাদের সৎ চিন্তা ভাবনা থাকলে কোনও ভাবেই জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মেলাতে জুয়ার আসর বসতে পারতো না। অভিযোগ, তা না করে, মণ্ডল সভাপতি সুব্রত নিজেই জুয়াড়িদের মেলায় আপ্পায়ন করে নিয়ে এসেছেন। এবং রোজগার করছেন অর্থ।

প্রতিদিন সুব্রত মজুমদার জুয়ার বোর্ড থেকে রোজগার করছেন ২০ হাজার টাকা। অবাক করার মতো বিষয় খোয়াই পুলিশও অন্ধ হয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও পুলিশ থাকে বাবা গোসাইয়ের মতো।

আমজনতার প্রশ্ন, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর কথার কোনও গুরুত্ব নেই। নাকি, মুখ্যমন্ত্রীও শুধু কথার কথাই বলছেন? তিনি কেন পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিচ্ছেন না? এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই সুব্রত মজুমদারের মতো নেতারা দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবং কালিমা লিপ্ত করছেন ভারতী জনতা পার্টিকে।