ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮মার্চ।।
সাঙ্গ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ঘোষনা হয়েছে ফলাফল। মথাকে ভোট দিয়েছে তিপ্রাসারা।তাই জনতার কথা শুনার জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে তিপ্রামথা নেতৃত্ব। তার জন্য গঠিত হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।এই কমিটির চেযারম্যান জগদীশ
দেববর্মা। কমিটিতে রয়েছেন মেবার কুমার জমাতিয়া, বুধু কুমার দেববর্মা ও রাজেশ্বর দেববর্মা।
তিপ্রামথার জেলা কমিটি,ব্লক কমিটি, যুব ব্রিগেড, মহিলা ব্রিগেড, ছাত্র সংগঠন, বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক, এমডিসি সহ প্রত্যেকের সঙ্গেই আলোচনা করে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রতিটি জেলায় পৃথক ভাবে বৈঠক করবে।অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলিতে জনতার কথা শুনবেন মথা নেতৃত্ব। তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটির গঠনের কথা নিশ্চিত করেছেন।
প্রদ্যুৎ কিশোর তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ” এখন আমাদের যোদ্ধাদের কথা শোনার সময়। সারা রাজ্যে আমাদের সমস্ত যোদ্ধাদের সাথে দেখা করতে এবং তাদের সমস্যায় সমাধানের জন্য আমার দ্বারা একটি উচ্চ স্তরের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন হয়তো শেষ হয়েছে, কিন্তু এখন জনগণের আওয়াজ শুনতে হবে।” প্রদ্যুৎ কিশোরের এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি রাজনৈতিকভাবে বিশেষ তাৎপর্য পূর্ণ।
রাজনীতিকরা বলছেন, তিপ্রাসাদের মধ্যে প্রদ্যুৎ কিশোর নিজের জনপ্রিয়তা আরো বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন।পাশাপাশি তিপ্রামথাকে জনজাতিদের মনে আরোও বেশি করে আকৃষ্ট করার পরিকল্পনায় প্রদ্যুৎ কিশোর নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ জনজাতিদের কাছে তিপ্রামথা ব্যতীত অন্য কোনো রাজনৈতিক দল যেন জায়গা করতে না পারে,প্রদ্যুৎ তার সব রকমের ব্যবস্থা করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, প্রদ্যুৎ কিশোরের এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের পেছনে অন্য একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। কারণ প্রদ্যুৎ কিশোর যে কোন মুহূর্তে বিজেপির সঙ্গে সরকারে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে প্রদ্যুৎ কিশোরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রদ্যুৎ তার প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে সাড়া দিয়েছেন বলেও যারা জানা গিয়েছে। তিপ্রামাথার অন্দরমহলের খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে প্রদ্যুৎ কিশোর দলের সমস্ত নেতৃত্ব ও সাধারন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের পালস বোঝার চেষ্টা করবেন। সংশ্লিষ্ট বৈঠকগুলিতে মথা নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরবেন। এবং বলবেন বিজেপির প্রস্তাবের কথা। যদি নেতৃত্ব ও সাধারণ মানুষের পালস পজিটিভ হয়, তাহলেই বিজেপির সঙ্গে মথা মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবে। অন্যথায় তারা বিধানসভায় বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।