তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৯ জুলাই
গত ২০ জুন মুঙ্গিয়াকামী ও কল্যাণপুরে
গরু চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছিলো চার যুবকের।তারা প্রত্যেকেই সোনামুড়ার বাসিন্দা। গণহত্যা কাণ্ডের পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।এবং গ্রেফতার করে চারজনকে। ধৃতদের বিনা শর্তে মুক্তি চেয়ে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে মুঙ্গিয়াকামী থানা ঘেরাও করে গ্রামবাসীরা।সোমবার দুপুরে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে রাস্তায় মিছিল করে ঘেরাও করে থানা।এবং তারা দেয় ডেপুটেশন।
গণহত্যা কাণ্ডে পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে।বর্তমানে প্রত্যেকেই জেল হাজতে রয়েছে। এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরো কয়েকজনের নাম পেয়েছে।তাদের মধ্যে দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাদবাকিদেরখুঁজছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারা অপরাধী নয়।প্রত্যেকেই নির্দোষ।যারা প্রকৃত দোষী পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে না। তারা এখনো পর্দার আড়ালে। এইজন্য ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে যেন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়,তার জন্যই গ্রামবাসীরা থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে। ডেপুটেশনের পূর্বে গ্রামবাসীরা
মুঙ্গিয়াকামী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে।এবং ঘেরাও করে থানা। প্রায় টানা পাঁচ ঘন্টা উত্তেজিত জনতা মুঙ্গিয়াকামি থানা ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে খোয়াই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিব সেনগুপ্ত এবং তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনা চরণ জমাতিয়া। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ আধিকারিকরা থানা ঘেরাও মুক্ত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *