ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
বাংলার বীরভূমের প্রেতছায়া ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলায়।বাংলার অনুব্রতকে খুঁজে পাওয়া গেল ঋষ্যমুখে।বাংলার অনুব্রত শাসক দল তৃণমূলের নেতা।ত্রিপুরাতে খোঁজ পাওয়া অনুব্রতও শাসক দল বিজেপির নেতা। বাংলার অনুব্রত এখন আছেন সিবিআইয়ের হেফাজতে।ত্রিপুরার অনুব্রত সীমান্তে
ঘুরছেন খুল্লামখোলা।বাংলার অনুব্রত বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।আর ত্রিপুরার অনুব্রত ঋষ্যমুখ হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।
নাম: পরিমল মিত্র।বাড়ি: হরিপুর, ঋষ্যমুখ।
থানা: বিলোনিয়া ।দল: ভারতীয় জনতা পার্টি।
পদ: পঞ্চায়েত সদস্য।পঞ্চায়েত: হরিপুর।
ঋষ্যমুখের সীমান্তবর্তী গ্রাম হরিপুর। হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য পরিমল মিত্র। তিনি পেশায় একজন এলিট ক্লাসের গরু পাচারকারী। নিয়মিত পরিমল মিত্র হরিপুর সীমান্ত দিয়ে ওপারে পাচার করে গরু। তার সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দহরম মহরম। অভিযোগ, বিএসএফকে মোটা অংকের কাঞ্চন মূল্য দিয়ে ম্যানেজ করেই পরিমল মিত্র দীর্ঘ দিন ধরে গরু পাচার বানিজ্য করে যাচ্ছেন। বি এস এফের যোগসাজসে গরু বোঝাই বুলেরো পরিমল উন্মুক্ত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যায়। ওপারে গরু নামানোর পর গাড়ি গুলি ফের চলে আসে এপারে। এই ভাবেই পঞ্চায়েতের ডাক সাইটের নেতা পরিমল মিত্রের নির্দেশে হরিপুর সীমান্ত দিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক গরু পাচার।
Yগরু পাচারে জড়িত ধৃত ব্যক্তি পরিষ্কার ভাবেই বলেছেন, “আটক কৃত গরুগুলির মালিক পরিমল মিত্র। তিনি হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” এই কি? বিজেপি যেখানে গো – মাতা রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আন্দোলন করে থাকে। গরু পাচার আটকানোর জন্য নিয়ে থাকে নানান ব্যবস্থা। সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা জড়িত সরাসরি গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে। তাও আবার নাকি তিনি জনপ্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলোনিয়া থানা ও ঋষ্যমুখ ফাঁড়ি পুলিশ যৌথ ভাবে বিশেষ যানবাহন তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তখনই ঋষ্যমুখ ব্লকের শ্রীপুর থেকে দুটি গরু বোঝাই বলেরো গাড়ি আটক করে পুলিশ।একটি গাড়ির নম্বর টিআর- ০- ৮এ- ১৬৮০ অপর গাড়িটির নম্বর টিআর-০ – ৮সি-১৯৩৩ এই দুইটি গাড়িতে মোট ১৪টি গরু ছিল। গাড়ি গুলিতে থাকা চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের নাম রঞ্জিত পাল, লিটন দাস, কানাইলাল দেবনাথ ও ভবতোষ বৈদ্য। প্রত্যেকের বাড়ি ঋষ্যমুখ এলাকায়। গরু বোঝাই গাড়িগুলি রওয়ানা দিয়েছিলো দক্ষিণ জেলার গরু পাচার বাণিজ্যের মাফিয়া তথা পঞ্চায়েত সদস্য পরিমল মিত্রের গোপন আস্তানায়। উদ্দেশ্য সেখান থেকে গরু গুলিকে ওপারে পাচার করা।
তদন্তকারী পুলিশ জানিয়েছেন,এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিলোনিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলা নাম্বার ৪৭/২৩। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯,৩৮২(এফ) ধারায় এবং পশুদের প্রতি বর্বরতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে।
রাজ্যের গরু পাচার কাণ্ডে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা তথা সীমান্ত গ্রাম হরিপুরের পঞ্চায়েত সদস্য পরিমল মিত্রকে পুলিশ কি জালে তুলবে? নাকি নেতা পরিমলের অর্থ বল, বাহু বল ও রাজনৈতিক বলের কাছে হেরে যাবে ডিজিপি অমিতাভ রঞ্জনের রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক প্রাপক পুলিশ?
রাজ্য পুলিশ কি মান্যতা দেবে মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে? এখন কেন মুখ লুকিয়ে রেখেছে বিভিন্ন ভেকধারি হিন্দুবাদী সংগঠন? এই সমস্ত নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দক্ষিণের জনমনে।