ডেস্ক রিপোর্টার,৫ সেপ্টেম্বর।।
শহরের ইন্দ্রনগরের যুবতী রাজশ্রী দেবকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নারী নেত্রী পান্না দেবকে।রবিবার পূর্ব মহিলা থানার পুলিশ পান্না দেবকে গ্রেফতার করেছে।এবং এদিনই তাকে সোপর্দ করা হয়েছে আদালতে। ধৃত পান্না দেব এক সময় আগরতলা পুর নিগমের কাউন্সিলর ছিলেন।কংগ্রেসের টিকিটে করেছিলেন লড়াই।
গত তিন সেপ্টেম্বর ইন্দ্রনগর কবরখলা লাগোয়া একটি গাছ থেকে রাজশ্রী দেবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।মৃত দেহের পাশেই ছিলো “সুইসাইড নোট”। মৃত যুবতী রাজশ্রী দেব তার সুইসাইড নোট লিখেন,” তার মৃত্যুর জন্য দায়ী পান্না দেব”। যুবতীর সুইসাইড নোট পুলিশ উদ্ধার করে।এর প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার করা হয় পান্না দেবকে। ধৃত পান্না দেব সম্পর্কে মৃতা রাজশ্রী দেব পিসি।
যদিও মৃতা রাজশ্রী দেবের মা পরিষ্কার ভাবে বলছেন, তারা পান্না দেবের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেন নি।পান্না দেব তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। রাজশ্রী দেব মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো।মূলত পিসি পান্না দেবই দেখাশোনা করতো রাজশ্রী দের পরিবার।কারণ মৃতার পিতা দীর্ঘ বছর ধরেই নিখোঁজ। অর্থাৎ ধৃত তৃণমূল নেত্রী পান্না দেবের বিরুদ্ধে যে মৃতার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই তা অকপটে স্বীকার করেছেন রাজশ্রীর মা।
ধৃত পান্না দেব বলেন,” রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।তার ভাইয়ের মেয়ে মৃতা রাজশ্রী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পান্নার। ধৃত তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, শ্মশানে তার ভাইজির সৎকারের সময় বিজেপি’র লোকজন তার বাড়িতে হামলা করে। পুরো ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছেন পান্না দেব। তৃণমূল নেত্রী পান্না দেবকে এদিন আদালতে তোলা হলে তাকে দুইদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।পান্না দেবের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী রঘুনাথ মুখার্জী ও সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী দীপা ভট্টাচার্য।
এদিকে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেন, পান্না দেবকে বিজেপি ফাঁসিয়ে দিয়েছে।ঘটনার রাতে পান্না বাড়িতেই ছিলেন না। পরের দিন সকালে রাজশ্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন পান্না।সুবল ভৌমিক সরাসরি বিচার ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, পান্না কি সঠিক বিচার পাবেন?
