।।বিশ্বমোহন ও পরিমল।।

ডেস্ক রিপোর্টার, ২২ডিসেম্বর।।
    আসন্ন লোকসভা ভোটের মুখে নখদন্ত হীন বৈরী গোষ্ঠী এনএলএফটির সংসারে জ্বলছে ধাও ধাও আগুন। কৌশলে পুলিশ – গোয়েন্দা এই আগুনে ঢেলে দিয়েছে ঘী। সর্বোপরি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। এই মুহুর্তে এনএলএফটি দুই ভাগে বিভক্ত। এক গোষ্ঠীর প্রধান বিশ্বমোহন দেববর্মা। অন্য গোষ্ঠীর সুপ্রিমো পরিমল দেববর্মা। ধীরে ধীরে নানান চাপের মুখে নতি স্বীকারের পথে বিশ্বমোহন গোষ্ঠী। শেষ পর্যন্ত দলের কোর কমিটির বৈরী নেতারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য রাজী হয়েছে। কিন্তু বেকে বসেছে পরিমল গোষ্ঠী। তারা চাইছেন স্বাধীন ত্রিপুরার স্বপ্নকে সাকার করতে। তার জন্য সংগঠনকে নতুন ভাবে সাজানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। পুলিশ – গোয়েন্দার কাছে ওপারের জঙ্গি ডেরায় চলতে থাকা সমীকরণও স্পস্ট হয়ে গিয়েছে। তার প্রমাণ সিধাই ও ভান্ডারীমার পৃথক দুইটি ঘটনা।

।।চট্টগ্রামের সাজেক হিল।।

সম্প্রতি সিধাই ও ভান্ডারীমাতে এনএলএফটির সংসারের দুইটি পৃথক চিত্র ফুটে ওঠেছে। সিধাই থানার দাইগ্যাবাড়ি সীমান্তে গ্রেফতার হয়েছে বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর দুই শীর্ষ বৈরী নেতা।একজন শচীন দেববর্মা।অপরজন উৎপল দেববর্মা।তাদের গ্রেফতার নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বাস্তব অর্থে তাদেরকে কি গ্রেফতারকরা হয়েছে?নাকি তারা করেছে আত্মসমর্পন? যাই হোক না কেন, শচীন – উৎপল স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রথম সোপান টপকে নিয়েছে। সীমান্ত সূত্রের খবর, গোপন সমঝোতার কৌশলের রুট ম্যাপ ধরেই শচীন – উৎপলরা চলে এসেছে এপারে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

এই সময়েই কাঞ্চনপুরের ভান্ডারিমাতে দেখা গিয়েছে বিপরীত চিত্র। ভান্ডারিমার কাছরাম পাড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এনএলএফটির দুই জঙ্গিকে।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো আগ্নেয়াস্ত্র, বুলেট, ম্যাগাজিন, এনএলএফটির প্যাড, চাঁদার রসিদ। এরা এনএলএফটির পরিমল গোষ্ঠীর সদস্য। ধৃত বৈরী গণরাম রিয়াং ও রাই বাহাদুর রিয়াং
পুলিশকে জানিয়েছে, চাঁদা আদায়ের জন্যই বাংলাদেশের ঘাঁটি থেকে তারা এসেছে এপারে।এবং আশ্রয় নিয়েছিলো স্থানীয় বাসিন্দা রাই চায়না রিয়ংয়ের বাড়িতে।


ধৃত বৈরীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সাজাক হিলে এনএলএফটির পরিমল গোষ্ঠীই  এখন সক্রিয়। তুলনায় একেবারেই নিষ্প্রভ বিশ্বমোহন গোষ্ঠী। ধৃত বৈরীদের প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চলতি বছরে পরিমল গোষ্ঠী ধাপে ধাপে নতুন ভাবে জনজাতি যুবকদের নিয়োগ করেছে নিজের গ্রুপে।


এই সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার কাছেও। সর্বোপরি এনএলএফটির বাংলাদেশের ঘাঁটিতে যে আগুন জ্বলছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *