ডেস্ক রিপোর্টার,৭জানুয়ারি।।
ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে দাফন হলো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা মুজিবুর ইসলাম মজুমদারের মৃতদেহ।তাঁর সোনামুড়াস্থিত বাড়ির পাশ্ববর্তী কবরস্থানেই দাফন করা হয়েছে প্রয়াত নেতাকে।বৃহস্পতিবারেই মুজিবুর ইসলাম মজুমদারের মৃতদেহ কলকাতা থেকে রাজ্যে আনা হয়েছিলো। প্রদেশ বিজেপি’র আহবায়ক সুবল ভৌমিকের বাড়িতে এনে প্রয়াত নেতাকে জানানো হয়েছিলো শেষ শ্রদ্ধা।এরপর সন্ধ্যায় মৃতদেহ নিয়ে রাখা হয়েছিলো জিবি হাসপাতালের মর্গে।
শুক্রবার সকালে জিবি হাসপাতালের মর্গ থেকে তৃণমূল কর্মীরা প্রয়াত নেতার মরদেহ মিছিল করে নিয়ে যায় তাঁর আগরতলাস্থিত বাধারঘাটের মিলনচক্র বাড়িতে।সেখানেই ছুটে গিয়েছিলেন টিএমসির প্রয়াত নেতা মুজিবুর ইসলাম মাজুমদারের একসময়ের সহযুদ্ধা তথা বিজেপি’র দুই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ সাহা। সুদীপ রায় বর্মন প্রয়াত নেতার বাড়িতে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণা করে বলেন, ” বিজেপি’র দুস্কৃতিদের দ্বারা মুজিবুর ইসলাম আক্রান্ত হয়েছিলেন।এখন এই দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাতে ৩০২ধারা লিপিবদ্ধ করা উচিত পুলিশের।” সুদীপের কথায়, রাজ্য রাজনীতিতে প্রয়াত নেতা মুজিবুর ইসলাম মজুমদার ছিলেন নিপাট ভদ্রলোক।তাঁর কোনো শত্রু ছিলো না দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে।
এদিনই বাধারঘাট থেকে প্রয়াত নেতা মুজিবুর ইসলাম মজুমদারের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুড়াস্থিত তাঁর পুরানো বাড়িতে।এখানেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা প্রয়াত নেতার মরদেহ নিয়ে মিছিল করে।এবং শেষে কবরস্থানে গিয়ে ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী দাফন করা হয় সবার প্রিয় নেতা মুজিবুর ইসলাম মজুমদারের মৃতদেহ।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রয়াত নেতা মুজিবুর ইসলাম মজুমদারকে “শহীদ” হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।কারণ গত বছর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে দুষ্কৃতিরা মিলনচক্র বাড়িতে গিয়ে মারধর করেছিলো মুজিবুর ইসলাম মজুমদারকে।দুষ্কৃতিরাদের হামলায় তাঁর একটি হাত ভেঙে গিয়েছিলো।এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।কয়েকবার উন্নত চিকিৎসার গিয়েছিলেন কলকাতায়।কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। শেষ বারের মতো কলকাতাতে গিয়েই শারীরিক যন্ত্রনায় কাতর মুজিবুর ইসলাম মজুমদার ঘুমিয়ে পড়েন চিরদিনের জন্য। এই জন্যই তৃণমূল কংগ্রেস প্রয়াত নেতাকে “শহীদ” সম্মানে ভূষিত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *