ডেস্ক রিপোর্টার,২২মে।।
চাঙ্গা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অতীতের শাসক-বিরোধী উভয় ভূমিকা পালন করা কংগ্রেস। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্যই প্রত্যাশার অপমৃত্যু ঘটেছিলো শতাব্দীর প্রাচীন এই দলের।এখন অবশ্যই ঘুরে দাঁড়ানোর মরণ কামড় দিচ্ছে কংগ্রেস।শুধু রাজ্যে নয়,দেশের প্রেক্ষাপটেও একই চিত্র।
১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো। কংগ্রেসের ভোট রকেট গতিতে বাঁক নিয়েছিলো গেরুয়া শিবিরের দিকে। কংগ্রেসের এই ভোট ব্যাংককে ভিত্তি করেই ‘শূন্যে’ থাকা বিজেপি ২৫বছরের বাম শাসনের আবাসন ঘটিয়ে ছিলো। সঙ্গে কংগ্রেসকে ঠেলে দিয়েছিলো কোমায়।
রাজনীতিকদের বক্তব্য, সুদীপ রায় বর্মন,আশীষ সাহারা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতেই এক্সট্রা মাইলেজ পাইতে শুরু করে কোমায় থাকা কংগ্রেস। সঙ্গে বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা,গোপাল রায়দের মতো নেতারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করছেন কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে। কংগ্রেস তুলে এনেছে শাহজাহান ইসলাম, রাখু দাস ও সম্রাট রায়েরদের মতো যুবা-ছাত্র নেতাদের। ইদানিং কংগ্রেসের মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে দাগ কেটেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত ভট্টাচার্য।রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সূর্য উদয়ের জন্য প্রদেশ সভাপতি বীরজিৎ সিনহার নেতৃত্বে এক জোট হয়ে কাজ করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
শনিবার দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রদেশ কংগ্রেসকে অনেকটা জমাটি মনে হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন রাজ্য কংগ্রেসের সদর দপ্তরে পালিত হয় রাজীব গান্ধীর মৃত্যু দিবস। দলের সমস্ত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।সদর জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির।কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা উৎসাহ ভরে এগিয়ে এসেছিলো রক্তদানের মতো মহৎ কাজে।
রাজীব গান্ধীর মৃত্যু দিবসে রাজ্যবাসীকে নতুন বার্তা দিলেন বীরজিৎ-সুদীপ-আশীষরা।এদিন সাব্রুমে অনুষ্ঠিত যোগদান সভায় ১৬২পরিবারের ৪৮৫জন ভোটার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে।কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, এরা সবাই শাসক দল বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। এর আগেও বেশ কিছু জায়গাতে কংগ্রেস শাসক শিবিরে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে এনেছিলো ভোটার।