কৈলাসহর প্রতিনিধি, ১৩নভেম্বর।।
        বেআইনি প্রমোশন। ২০১৮- র  নিট পরীক্ষার ফলাফল, ছাত্র-ছাত্রীদের নাম ও নম্বর জানার জন্য আরটিআই প্রত্যাখ্যান। এবং হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা- এই তিনটি বিষয়ে সিবিআই ও ইডি- র তদন্তের দাবী জানিয়ে অনশনে বসলেন রাজ্য সরকারের এক সরকারি কর্মচারী। নাম সুভাষ রঞ্জন বণিক। ঘটনা কৈলাসহরে। সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে  তিনি অনশন শুরু করেন।সঙ্গে ছিলো তার স্ত্রী ও কন্যা। এদিন সন্ধ্যায় প্রতিবাদী সরকারী কর্মচারী অনশনস্থলে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারস্থ স্ত্রস্থ হয়েছিলেন কৈলাসহর থানায়। নিরাপত্তার জন্য তিনি লিখিত ভাবে থানাদারকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো এক রহস্য জনক কারণে সুভাষ রঞ্জন বনিককে পুলিশ নিরাপত্তা দেয় নি। তারপরেও তিনি ভয় ভীতি উপেক্ষা করে রাতেও চালিয়ে যাচ্ছেন অনশন। তবে দিন ভর তার অনশনস্থলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ পা মাড়ান নি।
    সুভাষ রঞ্জন বনিক জানিয়েছেন, তার রজত বনিককে অনৈতিক ভাবে মেডিক্যাল পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাকে কলেজে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির কথা বলে তার একাউন্ট থেকে কলেজ পক্ষ দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে সুভাষ রঞ্জন বণিক ১৮- সালেই দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছে। কিন্তু কোনো সুরাহা পায় নি তিনি। পরবর্তী সময়ে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার কাছে। সুভাষ রঞ্জন বণিকের কথা, দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও কোন সমাধান সূত্র বের করে দিতে পারেননি। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তিনি সুষ্ঠ বিচারের আশায় অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।। তার দাবি, গোটা ঘটনা সিবিআই বা ই ডি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে মূল রহস্য। ২০১৮ সালে নিট পরীক্ষায় পাশ করা ছাত্র ছাত্রীদের নামের তালিকা ও প্রাপ্ত নম্বর জানার জন্য তিনি আরটিআই করেছিলেন। কিন্তু তার দেওয়া আরটিআইয়ের কোনো উত্তর দেওয়া হয় নি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *