।।ধৃত বৈরী নেতা শচীন দেববর্মা।।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯ডিসেম্বর।।
   রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা এনএলএফটির অন্যতম সদস্য শচীন
দেববর্মা। সে এনএলএফটির বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর ডাক সাইটের নেতা। পুলিশ – নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এক সময় শচীন দেববর্মা ছিলো ত্রাস। গত ১৪ডিসেম্বর শচীন আচমকা তার অপর সঙ্গী উৎপল
দেববর্মাকে নিয়ে বাংলাদেশের ঘাঁটি থেকে প্রবেশ করেছিলো এপারে। এসেছিল সিধাই থানার দাইগ্যা বাড়ি সীমান্ত দিয়ে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শচীন ও উৎপলকে গ্রেফতার করে। বাস্তব অর্থে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে, নাকি তারাই আত্ম সমর্পন করেছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এনএলএফটির জাদরেল নেতা শচীন দেববর্মা পুলিশের কাছে এতো সহজেই ধরা দেবে? এটা ভাবা অন্যায়।


গোপন কোনও চুক্তির মাধ্যমেই শচিন যে বৈরী ডেরা থেকে ফিরে এসেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। খুন,অপহরন, অগ্নি সংযোগ,তোলাবাজি সহ একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে শচীন দেববর্মার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল জারি করেছিলো রেড কর্নার নোটিশ।শচীন রাজ্য পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী। দীর্ঘ দিন ধরেই তাকে গ্রেফতারের জন্য মুখিয়ে ছিলো ইন্টারপোল ও রাজ্য পুলিশ। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছিলো আরক্ষা প্রশাসন। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর শচীন দেববর্মাকে গ্রেফতারের জন্য পুরস্কার ঘোষনা দিয়েছিলো। রাজ্য সরকার বৈরী নেতা শচীন দেববর্মার মাথার দাম ধার্য্য করেছিলো পাঁচ লক্ষ টাকা। এই সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও  জারি করেছিল আরক্ষা দপ্তর।


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রাক লগ্নে পাঁচ লাখী জঙ্গী নেতা শচীন দেববর্মার গ্রেফতার রহস্য জনক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই মুহুর্তে শচীন দেববর্মা জেল হাজতে। শচীনের এই গ্রেফতারের পেছনে কোন অজানা রহস্যের জাল বিস্তার করছে এনএলএফটি বিশ্ব মোহন গোষ্ঠি? এই মুহূর্তে তা, বলা কঠিন।


গত  নভেম্বর ,”জনতার মশাল” এনএলএফটির প্রথম সারির নেতাদের আত্মসমর্পন সংক্রান্ত বিষয়ে আগাম আভাস দেওয়া  হয়েছিল। “জনতার মশাল”- র আগাম আভাস যে সত্য ছিলো তাতে শীলমোহর দিয়েছে খোদ রাজ্য পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *