ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩মার্চ।।
রাজ্যের জনজাতিদের নিজের কোর্টে ধরে রাখতে সেই প্রত্যুৎ কিশোর ফের ঝুলিয়ে দিলেন ললিপপ। জনজাতিদের উদ্দেশ্যে এক অডিও বার্তায় প্রদ্যুৎ বলেছেন, “পিকচার আভি বাকি হে”। অর্থাৎ পপ্রদ্যুৎ বুঝিয়ে দিলেন, তার খেলা এখনো শেষ হয়নি তার জন্য জনজাতিদের ধৈর্য ধরতে হবে।
প্রদ্যুৎ তার অডিও বার্তায় জনজাতিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “তিনি দিল্লিতে নিজেদের লোক পাঠাবেন। ভুল লোক দিল্লিতে গেলে ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গে হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ব্লক করে দেওয়ার প্রচেষ্টা করবে। এই চুক্তি যেন বাস্তবায়িত করা যায়, তার জন্য দিল্লিতে নিজেদের লোক পাঠানো প্রয়োজন এবং এই লোককে প্রদ্যুৎ নিজেই পাঠাবেন।”
প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন রাজ্যের জনজাতিদের ভাবাবেগকে উচকে দিয়ে বলেন, একসময় রাজ্যের জনজাতিদের চোখ দিয়ে জল পড়তো। এখন সেই দিন শেষ। আর জল পড়বে না। রাজ্যের জনজাতিরা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। মাথা গরম করবে না। সঠিক চিন্তা ভাবনা করার জন্য তাদের কাছে উপযুক্ত লোকজন রয়েছে। তাই প্রদ্যুৎ বারবার তার বার্তায় জনজাতিদের ধৈর্য ধরার কথা বলছেন।
রাজনীতিকরা বলছেন, হঠাৎ করে প্রদ্যুৎ কিশোর এই অডিও বার্তা প্রমাণ করে বিজেপির সঙ্গে সরকারে যাওয়ার বিষয়টি জনজাতিরা মেনে নিতে পারছে না। তার ফল স্বরূপ পাহাড়ে পাহাড়ে জ্বলছে প্রদ্যুৎ কিশোরের ছবি। মানুষ আস্তা হারাচ্ছে প্রদ্যুৎ ও তিপ্রামথার উপর থেকে। এখন প্রদ্যুতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছে মাথার নেতারাই। তারাও বুঝে গিয়েছে, প্রিয় বুগ্রার ভাউতাবাজি। প্রদ্যুৎ কিশোর নিজেও এই বিষয়টি বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন। পাহাড়ে চলতে থাকা ঝড় কমানোর জন্যই প্রদ্যুৎ জনজাতিদের উদ্দেশ্যে অডিও বার্তায় নিজের অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। জনজাতিদের আশ্বস্ত করার জন্যই বারবার বলছেন, ” তিনি দিল্লিতে লোক পাঠাবেন। তার পাঠানো লোক জনজাতিদের জন্যই কাজ করবে।”
সাধারণ জনজাতিদের প্রশ্ন, আগেও প্রদ্যুৎ কিশোরের বাবা কিরিট বিক্রম মানিক্য ও মা বিভু কুমারী দেবী রাজ্য থেকে সাংসদ হয়ে সংসদ ভবনে চেয়ারে বসে ছিলেন। কিন্তু তারা কেন রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারেননি? তাহলে ২৪- র নির্বাচনে প্রদ্যুতের পাঠানো ঘনিষ্ঠ লোক দিল্লিতে গিয়ে কি পারবে জনজাতিদের আক্ষরিক উন্নয়ন করতে?