ডেস্ক রিপোর্টার,১৮সেপ্টেম্বর।।
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন সিপিআইএম’র রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস। ২৩-এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।তার আগে আছে পুর নিগম,পুর ও নগর সংস্থার ভোট। সব কিছু ঠিক- ঠাক থাকলে শারদ উৎসবের পরই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নির্বাচন। এমনই খবর প্রশাসন সূত্রে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দল সিপিআইএম’র রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাসের মৃত্যু নিঃসন্দেহে বামেদের কাছে বড় ধাক্কা। কিন্তু গৌতম দাসের পরিবর্তে কাকে করা হবে সিপিআইএম’র রাজ্য সম্পাদক? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাম রাজনীতির অলিন্দে।
রাজ্য সিপিআইএম’র প্রকোস্টের খবর অনুযায়ী, সিপিআইএম’র রাজ্য সম্পাদকের দৌঁড়ে রয়েছেন তিনজন। এর বাইরেই থাকবে পারে চমক।তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সিপিআইএম’র সম্পাদক মণ্ডলী।
সিপিআইএম’র রাজ্য সম্পাদকের সম্ভ্যাব তালিকায় নাম রয়েছে জিএমপি সভাপতি জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন দুই মন্ত্রী মানিক দে ও রতন ভৌমিক। এই তিনজনের বাইরে চমক দেওয়ার মতো এক জন নারী নেত্রীর নামও রয়েছে।তিনি রমা দাস।যদি রমা দাসকে রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে রাজ্য বাম রাজনীতিতে এটাও হবে এক নতুন ইতিহাস।
মেলারমাঠের খবর, এই চার বাম নেতৃত্বের মধ্যে জনমনে টিআরপি’র নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।দলের কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন রাজ্য রাজনীতির সমতল-পাহাড়ের সমীকরণে এই মুহূর্তে সিপিআইএম’র জিতেন্দ্র চৌধুরীর বিকল্প নেই। তিনি বর্তমানে জিএমপি’র সভাপতি।ছিলেন মন্ত্রী,সাংসদ।জাতি-জনজাতিদের মধ্যে সিপিআইএম’র একমাত্র নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীই জনপ্রিয়।বাস্তব অর্থে টানা ২০বছরের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দোলনেতা মানিক সরকারেরও এই জনপ্রিয়তা নেই। আগের টার্মে সম্পাদক মন্ডলীতে অল্প ভোটে প্রায়ত রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাসের সঙ্গে হেরে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। বাম রাজনীতিকরা বলছেন,এর পেছনে কাজ করেছিল মানিক সরকারের মস্তিষ্ক।কারণ জিতেন্দ্র চৌধুরীকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কখনো তার পছন্দের তালিকায় রাখেন নি। এবারও মানিক লবি জিতেন্দ্র চৌধুরী মঞ্চ ছেড়ে দেবে বলে মনে হয়না।এক্ষেত্রে অবশ্যই জিতেন্দ্র চৌধুরী যদি সিপিআইএম’র সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরির আশীর্বাদ আনতে পারেন তাহলে সেটা উপশমের মতো কাজ করতে পারে।রাজ্য রাজনীতির পাহাড়-সমতলের নতুন সমীকরণের কথা মাথায় রেখে জিতেন্দ্র’র হাতে ব্যাটন ছেড়ে দিতে পারেন মানিক সরকার।
সিপিআইএম’র রাজ্য সম্পাদকের দৌঁড়ে নাম রয়েছেন বিধায়ক রতন ভৌমিকের।তিনি দলের পুর খাওয়া নেতা।সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট দক্ষ।ছিলেন মন্ত্রীও।তারচেয়ে বড় পাওনা মানিক সরকারের প্রিয় পাত্র। একজন তাত্বিক নেতা হিসাবেই তিনি পরিচিত বাম নেতা-কর্মী সমর্থকদের কাছে।
সম্ভাব্য রাজ্য সম্পাদকের তালিকার তৃতীয় নাম প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে। প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ যখন অসুস্থ ছিলেন তখন রাজ্য সম্পাদকের কাজ দেখাশুনা করেছেন তিনি।এখনও করছেন এই কাজটি।তিনি দীর্ঘদিনের মন্ত্রী।মানিক সরকারের কাছের মানুষ।আছে সাংগঠনিক দক্ষতা।তবে বয়স একটা ফ্যাক্টর হতে পারে মানিক দে’র ক্ষেত্রে।আপাতকালীন অবস্থায় তিনি দায়িত্ব পালন করলেও বয়সজনিত কারণে তাঁর পক্ষে এই গুরু দায়িত্ব পালন করা কতটা সম্ভব হবে তাও বিবেচনার মধ্যে রাখছে সিপিআইএম’র সম্পাদক মণ্ডলী।
সিপিআইএম’র রাজ্য সম্পাদকের রিলে প্রতিযোগিতার আরেক সম্ভাব্য প্রতিযোগী রমা দাস। বর্তমানে তিনি দলের কর্মসূচি নির্ধারণ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি সিপিআইএম’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা।বাম রাজনীতির ডাক সাইটের নেত্রী রমা দাস।বাম রাজনীতিকরা বলছেন, রমা দাসকে রাজ্য সম্পাদক করে নতুন চমক দিতে পারেন মানিক সরকার। যদি এই বিষয়টি সিপিআইএম’র সম্পাদক মণ্ডলী যদি ছাড়পত্র দেয় তাহলে রাজ্যে বামেরাও গড়বে এক নতুন ইতিহাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *