ডেস্ক রিপোর্টার, ১লা জুন।।
   রাজ্যের অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে রাজ্য সরকার। অপরাধ দমনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ) গঠনের ঘোষনা দিয়েছেন।শুরু হয়েছে কাজও। আরক্ষা দপ্তরের খবর অনুযায়ী জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই এসটিএফ আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্ম প্রকাশ করবে। এসটিএফের মূল দায়িত্বে থাকবেন একজন এসপি স্তরের অফিসার।


পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, এসটিএফ গঠনের জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে ডিএসপি, ইনস্পেক্টর, সাব – ইনস্পেক্টরদের নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে আরক্ষা প্রশাসন।এই সমস্ত পুলিশ অফিসারদের দিয়েই তৈরি করা হবে এসটিএফ। প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে।যে সমস্ত পুলিশ অফিসারদের পারফরমেন্স ভালো তাদেরকেই নিয়ে আসা হচ্ছে এসটিএফে।


ইতিমধ্যে রাজ্যের পুলিশ তোলাবাজি,অপহরন মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।তাদের মধ্যে সিংহ ভাগ শাসক দলের। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এবং  চলে যায় হাসপাতালে। এটা অবশ্যই নতুন সংস্কৃতি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের চোখে গোলক ধাঁধা লাগানো। রাজনৈতিক ইন্ধন না থাকলে এই ধরনের নাটক তারা করতে পারে না। কিন্তু এটাই হচ্ছে।


সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এই সমস্ত রাজনৈতিক গ্যারাকল টককে মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স কতটা ফ্রি ভাবে কাজ করতে পারবে? কারণ ২০১৮ সাল বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে  বসেই দিল্লি,মুম্বাইয়ের আদলে গঠন করেছিলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চ।কিন্তু রাজ্যের এই ক্রাইম ব্রাঞ্চ সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি। এখনো বহু মামলার চার্জশিট জমা করতে পারেনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের স্বপ্নের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা স্পেশাল টাস্ক ফোর্সে প্রায় একই অফিসাররা থাকবেন।


তাদের পক্ষে কি সম্ভব হবে রাজনৈতিক বিধাতাদের চক্রব্যূহ ভেদ করে অপরাধীদের জালে তোলা? এবং তাদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা করা ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতার মনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *