ডেস্ক রিপোর্টার,২৬অক্টোবর।।
চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড কাঞ্চনপুরের দশদা আর ডি ব্লকে।এই ইস্যুতে ডেপুটেশন দিতে আসা তিপ্রামথার লোকজন বিডিওকে ঘেরাও করে রাখে। টানা চার ঘণ্টা তালা বন্দি ছিলো বিডিও অফিস।আন্দোলনকারী তিপ্রামথার কর্মী-সমর্থকরা
ভাঙচুর করে বিডিও’র চেম্বারে।মঙ্গলবার দুপুরে মথার কর্মীদের আস্ফালন মুহূর্তেই আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় জনমনে। ঘটনার প্রথমদিকে অকুস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় সমস্যা আরো বেড়ে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।এক্ষেত্রে কাঞ্চনপুর থানার ওসি সমীর রায়ের ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। পরবর্তী সময়ে কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও ডিসিএম বিশাল পুলিশ বাহিনী সহ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী,এদিন সকালে তিপ্রামথার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা আসে দশদা আর ডি ব্লকে। ডেপুটেশন কেন্দ্র করে তিপ্রামথার কর্মীরা ঝামেলা পাকাতে পারে এই সংক্রান্ত খবর ছিলো পুলিশের কাছে।তা সত্ত্বেও কাঞ্চনপুর থানার ওসি সমীর রায় ব্লকে ফোর্স নিয়ে যায়নি বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারী তিপ্রামথার নেতৃত্বের অভিযোগ ছিলো বিএসি’র চেয়ারম্যান জিরেন্দ্র রিয়াংয়ের নিযুক্তি অবৈধ।তাই জিরেন্দ্র রিয়াংকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে।ডেপুটেশনের সময় তিপ্রামথার প্রচুর সংখ্যক কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়। তাদের মধ্যে ছিলো প্রচন্ড উগ্রতা। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে পুলিশ ব্যারিক্যাড দেয়।কিন্তু মথার সমর্থকরা ব্যারিক্যাড ভেঙে প্রবেশ করে বিডিও অফিসে।এরপর তাদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় বসে বিডিও’র সঙ্গে।তখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।মথার সমর্থকরা বিডিও অফিসের মূল ফটকে ঝুলিয়ে দেয় তালা।এবং উত্তেজনাকর স্লোগান দিতে থাকে।ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে মথার সমর্থকরা তাদের প্রতিনিধি দলের সামনেই বিডিও’র চেম্বারে ঢুকে যায়।এবং বিডিও সৈকত সাহাকে নিগৃহীত করার চেষ্টা করে।শেষ পর্যন্ত বিডিও অফিসের জানালার গ্লাস ভেঙে দেয় তারা। পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে দশদা ব্লকে আসেন খোদ মহকুমা শাসক,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও ডিসিএম।তারা এসে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।দীর্ঘ সময় মথার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মহকুমা শাসক। এবং আশ্বস্ত করেন মথার নেতৃত্বকে।এরপরই গোটা এলাকায় প্রশমন হয় আতঙ্কের পরিবেশ।
