ডেস্ক রিপোর্টার,২৬ আগস্ট।
      কোটি কোটি টাকা খরচ করে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে রাজ্য পুলিশকেও। প্রথম বিজেপি – আইপিএফটি সরকার অপরাধ দমনের জন্য মান্ধাতার আমলের সিআইডিকে বিলুপ্ত করা গঠন করেছিলো স্বপ্নের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।এখন নতুন সংযোজন স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। অপরাধ দমনের এতো মেশিনারিজকে ব্যর্থ করে দিয়ে রাজ্যে রগরগে অপরাধ সংঘটিত করছে কুশীলবরা। কিন্তু অপরাধ চক্রের চাইরা যদি হন খোদ পুলিশ কর্মী,তাহলে কি দমন হবে অপরাধ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই দিতে পারবেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন।কারণ রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে শুরু করে গোয়েন্দার চোখে গোলক ধাঁধা লাগিয়ে অপরাধের শিরায় শিরায় প্রদক্ষিণ করছেন খোদ একজন পুলিশ কর্মী। তিনি আবার মহিলাও বটে।


রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার থানা পুলিশ প্রায়শই তির জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে থাকে।গ্রেফতার করে কারবারের সঙ্গে জড়িত চাইদের। কিন্তু পুলিশের অপরাধ দমনের কারখানাতেই এখন সাজানো থাকে  তির জুয়ার পসরা। এবং কারবারের মূল মাষ্টার মাইন্ড যদি হয় পুলিশ কর্মী,তাহলে অপরাধের ক্লাইম্যাক্সও হয়ে উঠে জটিল থেকে জটিলতর।


নাম: সুমিতা কৈরী দাস। তিনি পুলিশ কনস্টেবল।
তার বর্তমান কর্মস্থল তেলিয়ামুড়া থানা।
মহিলা পুলিশ কনস্টেবল সুমিতা কৈরীর ফেসবুক একাউন্টে তির গুরু নামক একটি পেজের প্রমোশন করছে। এখানে তির খেলার বিভিন্ন নম্বর লেখা রয়েছে।সুমিতার তির জুয়ার নেট ওয়ার্ক বিস্তৃত শিলং পর্যন্ত। মূলত খেলা হয় শিলংয়ে। তার সাব- ব্রাঞ্চ তেলিয়ামুড়াতে। এখান থেকেই গোটা খোয়াই জেলার তির সম্রাজ্য পরিচালনা করেন মহিলা পুলিশ কর্মী সুমিতা। খেলা হয় অন-লাইনে। হোয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুকের মাধ্যমে তির খেলার বিভিন্ন নম্বর লেনদেন হয়। দিনের খেলায় কোন কোন নম্বর টার্গেট করলে জুয়াতে ভালো রোজগার করা যাবে, তারও ইঙ্গিত দেওয়া হয় তির গুরু পেজে।এই পেজটি সুমিতা নিয়মিত তার ফেসবুক একাউন্টে প্রমোট করে থাকে।

।।সুমিতা কইরীর ইউ টিউব চ্যানেল।।

শুধু ফেসবুক নয়, ইউ টিউবেও তির খেলার ব্যাপক প্রচার করা হয়। তির গুরু নামে একটি ইউ টিউব চ্যানেল আছে। এই ইউ টিউব চ্যানেলের প্রচার হয় পুলিশ কনস্টেবল সুমিতার ফেসবুক একাউন্টে।সুমিতা নিজেই পোস্ট করেন ইউ টিউব চ্যানেলের ক্লিপিং। এই ক্লিপিং গুলিতে তির খেলার নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হয়।একজন ব্যক্তি কিভাবে খেলবেন তির। কোন কোন নম্বর টার্গেট করবেন। সমস্ত কৌশল তুলে ধরা হয় তির গুরু নামক ইউ টিউব চ্যানেলে। তির গুরু ইউ টিউব চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করার জন্যও প্রকাশ্যে আহ্বান করছেন তির সাম্রাজ্যের গুরু মা তথা মহিলা পুলিশ কনস্টেবল সুমিতা কৈরী দাস।


একজন জুয়ারি সুমিতাকে হোয়াটস অ্যাপে জিজ্ঞাসা করছেন, “মেম নাইট মে কইয়ি টার্গেট হে কিয়া “।
উত্তরে তিরের গুরু মা সুমিতা টার্গেট সংক্রান্ত নম্বর পাঠিয়ে দিয়েছেন সেই জুয়ারিকে। হোয়াটস অ্যাপে জুয়ারি ও সুমিতার এই কথোপকথনের স্ক্রিন শট নিজেই তার ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেছেন।


সুমিতা কৈরীর ফেসবুক একাউন্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তার ফ্রেন্ডস সংখ্যা ১১০জন।তাদের মধ্যে একটা বড় আছেন, যারা তির খেলার সঙ্গে জড়িত। তাদের প্রোফাইল দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।.


রাজ্য পুলিশের কনসটেবল সুমিতা কৈরী যে তির জুয়ার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তেলিয়ামুড়া থানাতে বসেই তির জুড়ায় রিমোট কন্ট্রোল পরিচালনা করেছেন মহিলা কনস্টেবল সুমিতা দেবী। কিন্তু ঘুমে আচ্ছন্ন তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ।


ঘুণাক্ষরেও জানতে পারে নি খোয়াই জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা।অথচ থানার নিউক্লিয়াসে বসেই তেলিয়ামুড়া থেকে শিলংয়ে তির বাণিজ্যে পরিক্রমা করছেন সুমিতা কৈরী দাস। রাজ্য পুলিশের সাইবার সেল কি খতিয়ে দেখবে সুমিতার ফেসবুক একাউন্ট। এবং পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন কি সুমিতা কৈরীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *