ডেস্ক রিপোর্টার,১০মে।।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটি ঘোষণা হতেই দলের অন্দরে বইছে গরম হাওয়া। শুরু হয়েছে দল ছাড়ার হিড়িক।দল ছাড়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ নূর আলী।
মহম্মদ নূর আলী নেতৃত্বের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগলে দিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব পুরানো কর্মীদের মূল্যায়ন করে নি। পুরানোদের জায়গা দেয় নি নব গঠিত কমিটিতে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন প্রধান অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন,দলের বর্তমান সভাপতি সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে। নূর আলীর বক্তব্য, সুবল ভৌমিক তাঁর নিজের অনুগামীদের দিয়ে প্রদেশ কমিটি গঠন করেছেন।অথচ যারা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা আগলে ধরে রেখেছিলো তাদের ব্রাত্য করে দেওয়া হয়েছে।
নূর আলীর কথায়, রাজ্যের মানুষ দল বদলু সুবলকে পছন্দ করে না। তার নেই কোনো জনপ্রিয়তা।এখন পর্যন্ত বহুবার দল পরিবর্তন করেছেন।তবে এটা নিজের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে নয়।
কৈলাসহরের বাসিন্দা নূর আলী বলেন, সুবল ভৌমিক স্থানীয় তৃনমূলকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছন।তাতে ক্ষতি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। দলের বড় অংশ সুবল ভৌমিকে পছন্দ করে না।তাই তারা পিছিয়ে গেছে। হাতে গুনা অল্প কয়েকজনকে নিয়ে কৈলাসহরে টিম টিম করছে তৃণমূল।আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসে সুনামী আসবে বলেও নূর আলী মন্তব্য করেন।তবে নূর আলীর দল ত্যাগ নিঃসন্দেহে কৈলাসহরে তৃণমূলকে বেকায়দায় পড়তে হবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
নূর আলী নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন সভাপতি বললেও তা মানতে রাজি নয় বর্তমান প্রদেশ কমিটির নেতৃত্ব। বর্তমান নেতৃত্বের দাবি, তারা নূর আলীকে জানেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সমর্থক হতে পারেন তিনি।তাছাড়া ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো কমিটি ছিলো না।তাহলে কিভাবে নূর আলী প্রদেশ কমিটির সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি হলেন? সবটাই স্ব-ঘোষিত।
তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সফরে এসে বলেছিলেন ত্রিপুরায় কোনো কমিটি নেই।তার মানে নূর আলী সম্পুর্ন ভুয়ো। বরং নূর আলী তৃণমূল কংগ্রেসের নাম বিক্রি করে টিকিয়ে বেঁচে বর্তে আছেন।এখন কমিটিতে স্থান না পাওয়াতে তিনি সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে নানান কথা বলছেন।তাতে ঘাসফুল শিবিরের কিছু আসে যায় না।কারণ নূর আলী তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *