ডেস্ক রিপোর্টার,৩সেপ্টেম্বর।।
” ত্রিপুরাতে কোনো শক্তি আটকাতে পারবেনা তৃনমূল কংগ্রেসকে।দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি,বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে এই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব।শুক্রবার আগরতলার কৃষ্ণনগর সুপারি বাগানস্থিত দশরথ দেব ভবনে অনুষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভায় এই ভাষায় বিজেপি’র বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুস্মিতা দেব।
তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেন, তৃণমূল সহ বাদবাকি বিরোধী দলগুলোর জন্য সরকারের সমস্ত প্রটোকল।কিন্তু শাসক দল বিজেপি’র জন্য কোনো প্রটোকল নেই। বিরোধীদের সভা করতে বাধা,মিছিল করতে বাধা দিচ্ছে বিপ্লব কুমার দেবে’র প্রশাসন।সুস্মিতা দেব অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যেই কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন দেওয়া হবে।বিজেপি দিয়েছে কিনা সেই কর্মচারীরাই ভালো বলতে পারবেন। ১০৩২৩-ইস্যুর প্রসঙ্গ টেনে সুস্মিতা বলেন, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে বিজেপি সরকার।বলা হয়েছিলো, পার্লামেন্টে বিশেষ আইন করে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই করে নি। শিক্ষকরা এখন দিশাহীন।
তৃণমূল নেত্রীর কথায়,” ত্রিপুরার বিজেপি সরকার চলছে নাগপুরের কথায়।তবে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হলে পশ্চিম বাংলা থেকে নির্দেশ আসবে না। স্থানীয় মানুষের কথাতেই চলবে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার।রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস টেনে সুস্মিতা দেব বলেন, ” এই রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ কখনো অত্যাচারী সরকারকে বারবার উৎখাত করে দিয়েছে।২৩-এও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছেন সন্তোষ তনয়া।
এদিন কৃষ্ণনগর সুপারি বাগানস্থিত দশরথ দেব ভবনে কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে ২২জন ভোটার। প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ,এদিন রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলের কর্মী সভা শুরুর আগেই দশরথ দেব ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এরপর তারা জেনারেটর এনে অনুষ্ঠান শুরু করে।রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এই আচরণের পেছেন গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’র গন্ধ রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *