
ডেস্ক রিপোর্টার,৮ফেব্রুয়ারী।।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। যেকোন দিন কমিশন ঘোষনা করতে পারে নির্বাচনের দিনক্ষন। শাসক দল বিজেপি ভোটকে সামনে রেখে ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন যত এগুচ্ছে, রাজ্য রাজনীতির অতীতের দানবীয় শক্তি সিপিআইএম ততই নিঃস্ব হচ্ছে। দলের পুরানো কর্মীরা এখন দিক ভ্রান্ত। তারা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন, বামেরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। নেতারাও করছে সমঝোতার রাজনীতি। মূল বিষয় নিয়ে আন্দোলনের ধারে কাছে নেই মেলারমাঠের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা। তাই নেতাদের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে কর্মীরা। দলের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নেতারাও। কিন্তু কোনো এক রহস্য জনক কারণে নেতারা নিজেরা নীরব থেকে মানুষকে দল বিমুখ করে তুলছে। আর এই বিষয়টির জন্যই ধন্দে পড়ে গিয়েছে বাম কর্মী-সমর্থকরা।

আক্ষেপ করে রাজ্যের এক সিপিআইএম বিধায়ক(শহর সংলগ্ন কেন্দ্র) বলেন, ” আমরাই এখন দলের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী নই।কারণ প্রথম সারির নেতারা শাসক দলের বিরুদ্ধে এখনো বড় রকমের গড়ে তুলতে পারে নি। কিন্তু শাসক শিবিরকে ল্যাজে গুবরে লাগানোর জন্য ইস্যুর সংখ্যা নেহাত কম নয়। তারপরও শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে কুলুপ “।

সিপিআইএমের এই বিধায়ক অকপটে স্বীকার করেছেন,” দলের কর্মীদের অবস্থা ভালো নয়। পুরানো কর্মীরা দিন দিন নিরুৎসাহ হয়ে উঠছে। দলে ভিড়ছে না, নতুন কর্মী – সমর্থকরা। পুরানোদের নিয়ে দল চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।”এই পরিস্থিতি কাটিয়ে দলকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে আন্দোলনের গতি বাড়াতে হবে। কিন্তু নেতৃত্ব এই কাজটা করতে পারছে না।

মেলারমাঠে তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে প্রতিদিন সিপিআইএমের কমছে সদস্যের সংখ্যা। স্বাভাবিক ভাবে টান পড়ছে দলের সংগঠনেও।দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে উঠছে ভীত। ঘরে বসে যাচ্ছে দলের হার্ডকোর কর্মীরা। দলের তৃণমূল স্তরে কাজ করার লোকসংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বামেদের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠছে। সিপিআইএম বিধায়কের কথায়, “নতুনদের সাপ্লাই লাইন বন্ধ হয়ে গেলে দলের উত্তরণ অসম্ভব”। এটা রোগে পরিণত হয়ে গেলে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী দলও তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য।” এই আতঙ্কের প্রহরই গুনছে মেলারমাঠের দীর্ঘ দিনের পোড় খাওয়া নেতারা।বলছেন, রাজনীতিকরা।।