ডেস্ক রিপোর্টার, ১১মার্চ।।
         রাজ্যের স্বাস্থ্য বিপ্লবের কদর্য চেহারা। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে বিকল হয়ে আছে ক্যান্সার হাসপাতালের “পেট সিটি স্ক্যান” মেশিন। এর ফলে ক্যান্সার রোগীদের সমস্যা বাড়ছে দিন দিন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেশিন ঠিক করার জন্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। এরফলে পেট সিটি করার জন্য মুহূর্ষ ক্যান্সার রোগীদের ছুটে যেতে হচ্ছে বহিঃ রাজ্যে। অতিরিক্ত টাকা খরচ করে গুয়াহাটি, কলকাতা ও চেন্নাই যেতে হচ্ছে রোগীদের। প্রতি রোগীকে পেট সিটি টেস্ট করার জন্য খরচ করতে হচ্ছে ২৫- ৩০ হাজার টাকা। তার মধ্যে আছে আসা – যাওয়ার খরচ। ক্যানসারের চিকিৎসা অনেক বেশি ব্যয় বহুল। এই অবস্থায় এতো টাকা খরচ করে রোগীদের পেট সিটি স্ক্যান টেস্ট করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারি ভাবে এই অল্প টাকার বিনিময়ে করা যায় এই পেট সিটি টেষ্ট।


ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের পরিজনদের বক্তব্য, রাজ্যের নেতা – মন্ত্রীরা – আমলারা মুখে মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঢালাও উন্নয়নের কথা বলে থাকেন। বাস্তব অর্থে মুমূর্ষ রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে। এই মুহুর্তে রাজ্যে হুর হুর করে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।হাসপাতালে গেলেই পরিষ্কার হয়ে যায় এই চিত্র।
         বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য পেট সিটি স্ক্যান অত্যন্ত জরুরি।কারণ। রোগীর শরীরের কোন কোন জায়গাতে ক্যান্সারের বিস্তার ঘটেছে? পেট সিটি টেস্টের মাধ্যমে তা সনাক্ত করা হয়ে থাকে। পেট সিটি টেস্টের রিপোর্ট ব্যতীত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা শুরু করা যায় না। সর্ব প্রথম এই টেষ্ট রিপোর্ট প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহুর্তে রাজ্যের রোগীরা পেট সিটি টেস্টের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদেরকে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে।


রাজ্যের ক্যান্সার হাসপতালে কেন পেট সিটি স্ক্যান মেশিন বিকল? কেন তা মেরামত করা হচ্ছে না? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই হাসপাতাল কর্তপক্ষের কাছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই বেলেল্লাপনার খেসারত দিতে হচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের। স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়ে নিশ্চুপ। সর্বোপরি মহা বিপদে আক্রান্ত রোগীদের পরিবার পরিজনরা
                     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *