ডেস্ক রিপোর্টার, ১০ডিসেম্বর।।
  ওএনজিসির পর বাধারঘাটের নিগোসিয়েশন মাফিয়া টার্গেট আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্র। তারা এখন দূরদর্শন কেন্দ্রকে আস্টেপিস্টে ধরার জন্য লীন নক্সা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফায় নিগো মাফিয়াদের বৈঠক হয়েছে। তৈরি হয়েছে গ্রুপের সদস্যদের নামের তালিকা। বাধারঘাট মণ্ডলও নাকি এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল। এমন গুঞ্জন গোটা বাধারঘাটে। কেননা দূরদর্শন কেন্দ্রের নিগোসিয়েশন গ্রুপে সরাসরি জড়িত বাধারঘাট মণ্ডলের কয়েকজন নেতা।


দূরদর্শন কেন্দ্রে নিগোসিয়েশন বা নিগো গ্রুপের আত্ম প্রকাশ নতুন নয়। বাম জামানাতেও ছিলো।এখনো আছে। শুধু মাত্র বদল হয়েছে হাত।বাদবাকি সব কিছু চলছে নিজস্ব ছন্দে। তবে দূরদর্শন কেন্দ্রের দখল নিতে মিলন চক্র এলাকার কিছু বিজেপি সমর্থিত যুবকও এগিয়ে এসেছে। তাদের সঙ্গে বাধারঘাট মণ্ডলের নেতাদের বনিবনা নেই।স্বাভাবিক ভাবেই দূরদর্শন কেন্দ্র দখল নিয়ে মণ্ডল নেতৃত্বের সঙ্গে মিলন চক্র এলাকার স্থানীয় যুবকদের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে অনেকেই। মূলত মিলন চক্রের স্থানীয় যুবকরা প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদারের অনুগামী। তাই তারাও যে ছেড়ে কথা বলবে না এটা বালাই বাহুল্য।


২৩- র নির্বাচনের আগে থেকেই মিমি ও মীনা গোষ্ঠীর মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল। এখনও চলছে ঠান্ডা লড়াই। তার মধ্যে সূর্য্য মনিনগর কেন্দ্রের  একটা গ্রুপও উকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে দূরদর্শন কেন্দ্র দখল নিয়ে খোদ ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যেই ঝামেলা শুরু হয়েছে। তবে যে শক্তির বহর দেখাতে পারবে তারাই দখল করবে দূরদর্শন। এটাই বাস্তব।


দূরদর্শন কেন্দ্রের মাফিয়ারাজ নিয়ে যে কোনো সময় ভয়ঙ্কর রক্তের খেলায় মেতে উঠতে পারে বিজেপির তিন গোষ্ঠী। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে উঠবে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জন্য। তার আগেই যদি মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারেন তাহলে দুর্নাম কমাতে হবে গোটা দলকে। বিজেপির নিষ্ঠাবান কর্মীরা চাইছেন, ঝামেলার আগেই মুখ্যমন্ত্রী শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। যদি তা,না করা হয় তাহলে মাফিয়ারা নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রীর নামকে করবে কালিমালিপ্ত।
              

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *