ডেস্ক রিপোর্টার, ৭মে।।
                   দূর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকি হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ অতিক্রম। এই সময়ের মধ্যে পুলিশ তিনজনকে জালে তুলেছে। এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। কিন্তু আরোও এক মহিলাকে পুলিশ আটক করেছে। তবে তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতার দেখায় নি। এই মহিলা ধৃত যুবতী সুস্মিতা সরকারের মা ঊমা সরকার। এখনোও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে মূল মাষ্টার মাইন্ড রাজু বর্মন ও তার দুই ভাই রাকেশ বর্মন, দেবব্রত বর্মন এবং বিমান দাস। দূর্গা প্রসন্ন হত্যাকাণ্ডের স্ক্রিপ্ট রাইটার অমিত ঘোষেরও টিকির নাগাল পাচ্ছে না। তদন্তকারী পুলিশের কাছে স্পস্ট, দূর্গা প্রসন্ন হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে অনেক লম্বা কালো হাত। পুলিশ তাদের কাছে পৌঁছতে পারবে কিনা, এটা সময়েই বলবে। এই জন্যই “স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম” বা সিট গঠন করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর।



পুলিশ সূত্রের খবর, আরক্ষা প্রশাসন গোটা মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে সিট গঠন করার পথে হাঁটছে। সিট গঠন করে দূর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলার রহস্য ভেদ করতে চাইছে। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই “স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম” বা সিট গঠন করতে পারে। সিটের দায়িত্বে থাকবেন একজন এসপি স্তরের অফিসার। সঙ্গে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, একজন ডিএসপি, তিন জন ইনস্পেক্টর। তাদের মধ্যে একজন মহিলা ইন্সপেক্টর।থাকবেন  ছয় জন সাব – ইনস্পেক্টর।তাদের মধ্যে দুইজন মাহিলা ইনস্পেক্টর। এই টিমকে দূর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।


দুর্গা প্রসন্ন হত্যাকান্ডের শেকড় অনেক লম্বা। পুলিশের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট। এই শেকড় গুটিয়ে আনতে গেলে পুলিশের বড় টিমের দরকার। হত্যাকান্ডের মোডাস অপারেন্ডি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল পুলিশ। তবে দূর্গা প্রসন্নকে কে গুলি করেছে? রাজু – বিমানদের মধ্যে কেউ নাকি কোনো ভাড়াটে খুনি? এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ এখনো ধোঁয়াশায় রয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরোও কিছুটা দিন পুলিশকে অপেক্ষা করতে হবে। তারজন্য অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে রাজু – বিমান – অমিতদের। কিন্তু তাদেরকে গ্রেফতার করা এতোটা সহজ নয়। ইতিমধ্যেই রাজু – অমিত – বিমানরা আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ ডেরায়। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য কলকাতাতে অবস্থান করছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ টিম। একটি দল সোমবার ধৃত বীরচক্র ঘোষকে নিয়ে চলে এসেছে রাজ্যে। দ্রুত ভিকি হত্যাকান্ডের জাল গুটিয়ে আনতে সিটের উপর ভরসা রাখছে আরক্ষা প্রশাসন। খবর, চলতি সপ্তাহেই ১২ সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করতে চলছে পুলিশ সদর দফতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *