ডেস্ক রিপোর্টার,১৫আগষ্ট।।
ত্রিপুরাতে অস্তিত্ব বিপন্ন তৃণমূল কংগ্রেসের। অব্যাহত ধারাবাহিক ভাঙন।দলের কর্মী- সমর্থকদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা। রাজীব – সুবল – সুস্মিতাদের প্রতি ভরসা রাখতে না পেরে বিকল্প হিসাবে ফের কংগ্রেসকে বেছে নিচ্ছে দলীয় নেতা- কর্মীরা।এর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত দেখা যাবে রাজ্যের কাঞ্চনপুর মহকুমা তথা দেও উপতক্যায়। মহকুমার তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য,স্বাধীনতার মাসেই কাঞ্চনপুরে ঘাসফুল শিবিরে সুনামী শুরু হবে। এরপর ধীরে ধীরে গোটা উত্তর জেলাতেই নিঃশেষ হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
দেও উপতক্যার রাজনীতির খবর অনুযায়ী, গোটা উপতক্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ৭ – ৮ হাজার নেতা- কর্মী রয়েছে। আছে বড় অংশের সমর্থক। বরাবর দেও উপতক্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটা ভীত ছিলো। কিন্তু নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে এই শক্ত সংগঠন এখন ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে।কাঞ্চনপুরে তৃণমূল কংগ্রেস এখন সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। নেই দলের কোনো কার্যকলাপ। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে প্রদেশ নেতৃত্বের কোনো যোগসূত্র নেই। স্বাভাবিক ভাবেই কাঞ্চনপুরের তৃণমূল কর্মী – সমর্থকরা নিজেদের অভিভাবকহীন ভাবতে শুরু করেছে।এই কারণেই তারা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এবং বিকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছে কংগ্রেসকে।
কাঞ্চনপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা
পিযুষ নাথ,প্রিয়তোষ নাথ ও দেবরাম রিয়াংদের নেতৃত্বের প্রচুর সংখ্যক কর্মী- সমর্থক যোগ দেবে কংগ্রেসে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। চলতি মাসেই তারা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে সামিল হবে কংগ্রেস শিবিরে। ইতিমধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে চুড়ান্ত আলোচনা শেষ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা,কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন,কংগ্রেস নেতা আশীষ সাহাদের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা করেছে কাঞ্চনপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানা গেছে,কাঞ্চনপুরে জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা – কর্মীদের দলে বরণ করা হবে। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা – কর্মীরা চাইছেন দলের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি বোমা বিস্ফোরণ করে কংগ্রেসে যোগ দিতে। কাঞ্চনপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, সুবল – রাজীব ও সুস্মিতারা তাদের গুরুত্ব দেয় নি। প্রদেশ কমিটি তাদেরকে ডাকার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে নি।প্রদেশ সভাপতি সুবল ভৌমিকও দেও উপতক্যা নেতা – কর্মীদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ক্ষুব্ধ নেতারা বলেন, তৃণমূলের প্রদেশ নেতৃত্বের হাব – ভাব এমন ,তারা আগরতলাতে বসেই ত্রিপুরা জয় করে নেবে।জেলা বা মহকুমার নেতা – কর্মীদেরকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। সুতরাং দলে কর্মী দাম না থাকলে কিভাবে সংগঠন এগিয়ে যাবে?
