ডেস্ক রিপোর্টার, ১০জানুয়ারি।।
          ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে আচমকা শক্তি বৃদ্ধি করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। মূলত সুদীপ – আশীষ দলে ফেরার পর কংগ্রেস নতুন চেহারা ফুটে উঠেছে। তাই বলে শেষ হয়নি কংগ্রেসের পুরনো কাকড়া সংস্কৃতি। আর কংগ্রেসের এই কাকড়া সংস্কৃতির জন্য বিষিয়ে উঠেছে ধর্মনগরের কংগ্রেস রাজনীতি।এর প্রভাব পড়বে উত্তর জেলার রাজনীতিতেও। জেলায় কংগ্রেসের এই কাকড়া সংস্কৃতির মাস্টার মাইন্ড উত্তর জেলার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রূপময় ভট্টাচার্য্য। বীরজিতপন্থী এই কংগ্রেস নেতা এখন ধর্ম নগরের কংগ্রেসের বলেন হয়ে উঠেছে।দলে থেকে ঘুনের মতো খেয়ে দিচ্ছে কংগ্রেসকে।অভিযোগ খোদ ধর্মনগরের কংগ্রেস নেতৃত্বের।
           কংগ্রেস সূত্রের খবর, সম্প্রতি রূপময় ভট্টাচার্য্যকে জেলা কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ছেটে দেয় প্রদেশ কংগ্রেস। কারণ তার সংগঠনিক পারফরমেন্স একে বারেই নগণ্য।তাই প্রদেশ নেতৃত্ব তার উপর আস্থা রাখতে পারেনি। তাছাড়া বীরজিত সিনহার আশীর্বাদে তিনি হয়েছিলেন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি।অথচ এই পদে বসার মতো যোগ্যতা নেই তার। সুদীপ রায় বর্মন এই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাকে সরিয়ে দেয় দায়িত্ব থেকে।
            ২৩- র নির্বাচনে ধর্মনগর কেন্দ্র থেকে রূপময় ভট্টাচার্য্য প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। তার স্বপ্নে প্রথম ধাক্কা লাগে উত্তর জেলার সভাপতির চেয়ার থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর। তাছাড়া সুদীপ রায় বর্মনের গুড বুকে নেই রূপময়। ধর্মনগর কেন্দ্রে সুদীপ চাইছেন চয়ন ভট্টাচার্য্যকে।সুদীপের হাত ধরেই চয়ন সিপিআইএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। গোটা ধর্মনগরে প্রাক্তন বাম শ্রমিক নেতা তথা বর্তমান কংগ্রেস নেতা চয়ন ভট্টাচার্যের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তাই সুদীপ রায় বর্মন বামুটিয়া থেকে প্রতিনিধি করে চয়ন ভট্টাচার্যকে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে নিয়ে এসেছেন। সুদীপ রায় বর্মনের এই রাজনৈতিক চালে ব্যাকফুটে চলে যান রূপময় ভট্টাচার্য্য।এটা রূপময় ভালো করেই আঁচ করতে পেরেছেন।২৩ – র নির্বাচনে তার ললাটে যে চন্দনের টিকা পড়বে না তা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন বীরজিতের অনুগামী রূপময়। তাহলে কি তিনি চুপ করে বসে থাকবেন? না।রূপময় শুরু করেছে চয়ন ভট্টাচার্য্যকে কোণঠাসা করতে।
          ধর্মনগরে কান পাতলেই শোনা যায়, রূপময় ভট্টাচার্য্য ঘরের ইদুরের মতো কংগ্রেসের বেড়া কাটছে। চয়ন ভট্টাচার্য্যকে টেনে ধরার জন্য যা যা করার দরকার তা সবই করছেন তিনি। সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে কংগ্রেস করে কোনো লাভ নেই।কারণ কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে এই সংক্রান্ত কথা বলছেন।বলছে,খোদ কংগ্রেস কর্মীরাই। স্বাভাবিক ভাবেই আসন্ন নির্বাচনে বিভীষণ রূপী রূপময় ভট্টাচার্যের জন্যই ধর্মনগরে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়তে পারে কংগ্রেস।এমন আশঙ্কা করছে স্থানীয় কংগ্রেস – কর্মী সমর্থকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *