
ডেস্ক রিপোর্টার, ৬নভেম্বর।।
রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেস – সিপিআইএমের বৈরীতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মানুষ। রাজ্যের সংসদীয় রাজনীতির প্রারম্ভিক লগ্ন থেকেই এই চিত্র দেখতে অভ্যস্ত আমজনতা। গত কয়েক বছর আগে বাংলায় কংগ্রেস – সিপিআইএম বন্ধুত্ব করতে সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন।২৩- র রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বাম – কংগ্রেসের জোটের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। কিন্তু কখনো কংগ্রেস নেতৃত্ব মেলারমাঠে উপরে কথা বলতে পারেন নি। সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনেও কংগ্রেসকে আমল দেয় নি সিপিআইএম। এই ক্ষোভে জ্বলছে কংগ্রেস নেতা – কর্মীরা।কিন্তু জোট ধর্ম রক্ষার তাগিদে তারা প্রকাশ্যে কিছু বলেন নি। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নিজেরাই বামেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিন্ন করবে। এমন আভাস পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে।

প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের কথায়, ২৪- র লোকসভা নির্বাচনে তারা বামেদের দিকে চেয়ে থাকবে না। কংগ্রেস নেতৃত্ব নিশ্চিত, লোকসভা নির্বাচনেও বামেরা একাই দুইটি আসন প্রার্থী দেবে।এক্ষেত্রে কংগ্রেসকে কোনো চান্সই দেবে না। এই বিষয়টি স্পষ্ট পোস্ট অফিস চৌমুহনীর দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের কাছেও স্পষ্ট। তাই কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে পৃথক ভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পোস্ট অফিস চৌমুহনীর নেতাদের কথায়, সর্ব ভারতীয় স্তরে কংগ্রেস এখন মজবুত স্থানে আছে।আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনেও কংগ্রেস ভালো ফলাফল করবে।চিন্তায় আছে বিজেপি। তাছাড়া ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে সিপিআইএমকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ দিল্লির কংগ্রেস নেতারা। সর্ব ভারতীয় স্তরে বামেদের অবস্থান একেবারেই নড়বড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যেও বামেদের খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

পোস্ট অফিস চৌমুহনীর অন্দর মহলের খবর, রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারাও এবার বামেদের সঙ্গ ত্যাগ করতে চলছে।লোকসভা নির্বাচনে তারা লড়াই করবে পৃথক ভাবে। তার আগে গোটা রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে নেতৃত্ব।কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের কথা পৌঁছে গিয়েছে মেলারমাঠে।

ইতিমধ্যেই নাকি সুদীপ রায় বর্মন ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ সাহা এআইসিসির নেতাদের সঙ্গে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকও সেরে নিয়েছেন। এআইসিসির পক্ষ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে সবুজ সংকেত। এই কারণেই নতুন বছরের গোড়াতেই লোকসভা নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেস পৃথক ভাবে লড়াই করবে বলে আগাম ঘোষণাও দেবে।