ডেস্ক রিপোর্টার,৬ নভেম্বর।।
    ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভ্যাট দিয়েছিলো প্রদ্যুতের তিপ্রামথা।নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এই অভিযোগ তুলেছিল বামগ্রেস নেতৃত্ব।ধনপুর-বক্সনগর উপভোটেও  নীরব দর্শক ছিলো তিপ্রামথা।বিজেপিকে সুবিধা দিতেই উপভোটে ময়দান ছেড়েছিল তিপ্রামথা।অভিযোগ ছিলো বাম – কংগ্রেস নেতৃত্বের।মথার নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, একের বিরুদ্ধে একের লড়াইয়ের জন্যই তারা দেয় নি প্রার্থী।তারপরও কেন ব্যর্থ হলো সিপিআইএম? প্রশ্ন প্রদ্যুৎ কিশোর – অনিমেষদের।


২৪- র লোকসভা নির্বাচনে কি করবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথার রুট ম্যাপ কি হবে? তারা কি নির্বাচনে দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে? নাকি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে ভ্যাট দেবে?সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিপ্রামথার স্রষ্টা প্রদ্যুৎ কিশোরের ঘন ঘন নৈশ্য কালীন সাক্ষাৎকারের পরই এই সমস্ত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুইটি আসন বিজেপি প্রার্থী দেবে। তারা তিপ্রামথার সঙ্গেও জোটে যাবে না। এই সমীকরণ স্পস্ট।বাম-কংগ্রেসও পৃথক ভাবে প্রার্থী দেবে। নতুন বছরের গোড়াতেই কংগ্রেস – সিপিআইএমের বন্ধুত্বে ধরবে ফাটল। ইতিমধ্যে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে পোস্ট অফিস চৌমুহনী। বসে থাকবে না মেলারমাঠও।তারাও  প্রার্থী দেবে পৃথক ভাবে।
  ২৪- র নির্বাচনী কক্ষ পথে বিজেপি – সিপিআইএম ও কংগ্রেসের রুট পরিষ্কার। তাহলে কোন পথে হাঁটবে প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথা?ভোট রাজনীতির লগারিদম বিশ্লেষণ করে রাজনীতিকরা বলছেন, বাম ,কংগ্রেসের মতো  তিপ্রামথাও যদি লোকসভার  দুই  আসনে পৃথক ভাবে প্রার্থী দেয়,তাহলে নির্বাচনের আগেই জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতীয় জনতা পার্টির। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ ভোট কাটাকাটির অঙ্কে শাসক দল এগিয়ে যাবে। বাকিরা পাত্তাও পাবে না। এটা ভালো করেই জানেন মথার নেতৃত্ব। তিপ্রামথার বিনা সাহায্যে বিজেপি জয়ী হলে গেরুয়া বাহিনীর থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের কাছে গুরুত্ব কমে যাবে প্রদ্যুৎ কিশোরের।
তখন বিজেপিকে নিয়ে তিপ্রামথা খেলতে পারবে না। বরং পাল্টা খেলা শুরু করবে বিজেপি। ব্যাকফুটে চলে যাবে তিপ্রামথা। এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে তিপ্রামথার নেতৃত্ব।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না দিয়ে বিজেপিকে ভ্যাট দিলে নানান ভাবে ঢের সুবিধা পাবেন প্রদ্যুৎ কিশোর ও তার দল। ভারতীয় জনতা পার্টি পুনরায় ক্ষমতায় এলে জনজাতিদের স্বার্থে তিপ্রামথার উত্থাপিত দাবি গুলির কিছু একটা মানতে বাধ্য হবে বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব।সঙ্গে অবশ্যই রাজ্য নেতৃত্বও। তাদের দাবি গুলির মধ্যে অন্যতম, “বিধানসভায় আরো ছয়টি আসন জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত করা।”


কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যদি আরো দুইটি আসনও জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত করে দেয়,তাহলে এটাই হবে প্রদ্যুৎ কিশোরের বড় জয়।তখন রাজ্য বিধানসভায় জনজাতি বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াবে ২২জন। এসময় তিপ্রামথা নেতৃত্ব জনজাতিদের বুঝাতে পারবেন তারা জাতির স্বার্থে  লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজনীতির অন্দর মহলের খবর, বিজেপি ও তিপ্রামথার নেতৃত্বের মধ্যে এই সংক্রান্ত আলোচনা নাকি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।এখন বল তিপ্রামথার মূল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রদ্যুৎ কিশোরের কোর্টে। শেষ পর্যন্ত প্রদ্যুৎ কোন দিকে হাঁটবেন এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। তবে এটা বাস্তব তিপ্রামথা লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না দিলে, খুব শীঘ্রই রাজ্য রাজনীতির মানচিত্র থেকে প্রদ্যুৎ কিশোরের দল চিরতরে মুছে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *