ডেস্ক রিপোর্ট,২২ জুলাই

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন ও গবাদি পশু সুরক্ষা আইন নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের ফটিকরায় কেন্দ্রের বিধায়ক সুধাংশু দাস।আগামী বিধানসভা অধিবেশনে তিনি এই দুইটি ইস্যু উত্থাপন করবেন। সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন খোদ বিধায়ক।সম্প্রতি অসম ও উত্তরপ্রদেশ সরকার এই সংক্রান্ত দুইটি আইন লাগু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে।রাজ্যেও এই সংক্রান্ত আইন খুব জরুরি।এবং রাজ্যে এই দুটি আইন পাশ হলে তার সুফলও পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিধায়ক সুধাংশু দাস।

বিধায়কের বক্তব্য, রাজ্যে “জনসংখ্যা বিস্ফোরণ” ঘটছে।তা মোকাবেলার জন্য রাজ্য সরকারের আইনী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।তাছাড়া রাজ্যের প্রতিদিন পাচার হচ্ছে গবাদি পশু।গবাদি পশু সুরক্ষা আইনও রাজ্যে লাগু করা একান্ত প্রয়োজন।অবশ্যই আইনী কাঠামো থাকতে হবে। দাস আরও বলেছিলেন যে তিনি গবাদি পশু পাচারের নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনের আগামী বিধানসভা অধিবেশনে তিনি এই সংক্রান্ত একটি রেজোলিউশন আনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বিধায়ক বলেন,জনসংখ্যা বিস্ফোরণ দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। সমস্যা মোকাবেলায় আইন থাকা জরুরি। তাই দেশের সমস্ত রাজ্য সরকারকে সতর্ক থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য ভাবনা চিন্তা করা উচিত।এবং প্রয়োজন আইন প্রণয়নের।তাহলেই উৎসাহিত হবে মানুষও।
বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের জামানায় রাজ্যের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিধায়ক সুধাংশু দাস জানিয়েছেন,
“মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে ত্রিপুরার উন্নয়ন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ত্রিপুরা এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হট স্পটে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের এই সাফল্য দেখছে গোটা দেশের মানুষ।”
বিধায়ক সুধাংশু দাসের কথায়,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্ম নির্ভর ভারত প্রকল্প রাজ্যের বেকার যুবকদের বিকল্প জীবিকার পথ দেছিয়েছে। পরিবর্তন এসেছে যুবকদের মানসিকতায়।গত কয়েক বছরে ধূপ কাঠি শিল্পের প্রসার ঘটেছে এই রাজ্যে।এখন বায়োফ্লোক ও প্রগতিশীল কৃষির মতো কর্মকাণ্ডে প্রচুর যুবক নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক সুধাংশু দাস দাবি করেছেন,এখন  সরকারী কল্যাণমূলক সুবিধা পাওয়ার জন্য বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের মানুষকে যেতে হয় না। সরকারি সুযোগ সুবিধা বণ্টনে নেই কোনও রাজনৈতিক বৈষম্যতা নেই।বিধায়কের সটান জবাব,এই মুহূর্তে রাজ্যে গণতন্ত্র বিদ্যমান। তরুণ বিধায়ক দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের বার্তা দেন,তারা যেন সব ভুলে দলের মূল স্রোতে এসে মানুষ ও রাজ্যের কল্যানে ব্রতী হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *