ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯ফেব্রুয়ারি।।
                    হাস্যকর! তিপ্রামথা – প্রদ্যুৎ ও সর্বোপরি জনজাতিদের কাছে পুলিশের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। নির্যাতিতদের বিচার পাইয়ে না দিয়ে, দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মীমাংসা করার বার্তা দিয়েছে পুলিশ। কারণ আরক্ষা প্রশাসনকেও তাড়া করছে প্রদ্যুৎ কিশোরের জুজু। আর তাতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে ধলাই জেলার কমলপুরের সালেমা থানার পশ্চিম ডলুছড়া গ্রাম। পুলিশ প্রশাসনের এই নোংরা মনোভাবে এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করছে বাঙালি  অধ্যুষিত পশ্চিম ডলুছড়া। অভিশপ্ত এই গ্রামটিতে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলায় খুন হয়েছে ৩৭জন। এখনোও এই বাঙালি অধ্যুষিত গ্রামটির দিকে কু-নজর পড়েছে দুষ্কৃতীদের।
                     


সম্প্রতি ডলুছড়া গ্রামে জনজাতি সম্প্রদায়ের দুষ্কৃতীরা হামলা করে। তারা গ্রামবাসীদের বিস্তৃত জমি, ধানি ক্ষেত, গাছ – গাছালি সবই হরণ করছে দুষ্কৃতীরা। সংঘবদ্ধ ভাবে দুষ্কৃতীরা টাক্কাল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গলায় ধরে টাক্কাল। যদিও রক্তারক্তি হয় নি। কারণ গোটা গ্রামের লোকজন বেরিয়ে আসে। জনজাতি দুষ্কৃতীরা সরাসরি হুমকি দিয়ে জানিয়ে দেয়,” অতি সত্ত্বর বাঙালিদের ডলুছড়া গ্রাম ছাড়তে হবে।” স্থানীয় গ্রামবাসীদের ক্ষেত – খামার  এখন দখল নেবে তারা। ধারাবাহিক ভাবে গ্রামের বাসিন্দা পরিমল দেবনাথ, রসময় দেবনাথ ও মানিক নাথের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। করা হয়েছে তাদের জমি হরণ। আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে উঠেছে গোটা গ্রামের লোকজন।


ডলুছড়ার অসহায় গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে দ্বারস্থ হয়েছে সালেমা থানায়। তারা স্থানীয় জনজাতি দুষ্কৃতী নিধান দেববর্মা সুদীন্দ্র দেববর্মা সহ আরো দশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। থানায় মামলা দায়ের করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সরেজমিনে তদন্ত করে গোটা ঘটনা। সমস্ত তথ্য সংগ্রহের পর পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে বরং নির্যাতিতদের উপদেশ দেয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ” পুলিশ নাকি তাদেরকে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে হামলাকারীদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে মিটমাট করে নিতে। কারণ জনজাতি দুষ্কৃতীরা নাকি পুলিশের কোনো কথাই শুনছেন না। অর্থাৎ জনজাতি দুষ্কৃতীদের কাছে চূড়ান্ত ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। সালেমা থানার এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে পশ্চিম ডলুছড়ার গ্রামবাসীরা। তারা দ্বারস্থ হবে জেলা শাসক, পুলিশ মহানির্দেশক সহ সর্বোপরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার কাছে।
            
          
              

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *