
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
২৩- র ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই পাহাড়ে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ২রা মার্চের পর এডিসি এলাকায় বেশ কিছু রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিপ্রামথার কর্মীরা রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির কর্মীদের আক্রমণ করেছে।তবে আক্রান্তদের মধ্যে সিংহ ভাগ অনুপজাতি অংশের মানুষ।কিন্তু অবাক করার মতো ঘটনা প্রতিটি ঘটনার পর পুলিশ মথার কর্মীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতেও ভয় পাচ্ছে পুলিশ কর্তারা। কখনো কখনো মামলা নিলেও তা শুধু মাত্র নাম মাত্র।
তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর বারবার রাজ্য সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন।তিনি বলেন, মথাকে বাদ দিয়ে বিজেপি কিছু করতে পারবে না।বিজেপির পক্ষে সরকার চালানো কষ্ট হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।অথচ অবাক করার মতো বিষয় প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি।বরং প্রদ্যুতের সঙ্গে সাংবিধানিক সমাধান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রিয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের সিদ্ধান্তের আশ্বাসও দিয়েছেন অমিত শাহ।প্রদ্যুৎ নিজেই সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেছেন।

তবে কিছুটা ব্যতিক্রম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা।তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন,গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড সম্ভব নয়।এরপরই প্রদ্যুৎ আরো কিছুটা রুষ্ঠ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান। ঘন ঘন শুরু করেন গর্জন। কখনো কখনো জনজাতিদের ভাবাবেগকে সামনে রেখে করেন অরণ্য রোদন।প্রদ্যুৎ সম্পর্কে একথা বলছেন খোদ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের পাহাড়ের খবর অনুযায়ী, এডিসি এলাকায় বসবাসকারী বাঙালিরা আতঙ্কে ভুগছে। রাজ্যের অনেক জায়গাতে গ্রামবাসীরা রাতে পালা করে পাহারা দিচ্ছে।কারণ ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনের আক্রমণের আশঙ্কা করছে তারা।

এডিসি অঞ্চলের মানুষের এই সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ঠিকই। তবে তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে পাহাড়ের অনুপজাতিরা। কারণ মথার উগ্র সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কম্পন শুরু হয়ে যায়।এই কারণেই অনুপজাতি অংশের মানুষ পুলিশের উপর ভরসা করতে পারছে না। সব মিলিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে উপেক্ষা করে পাহাড়ে তিপ্রামথার সমান্তরাল প্রশাসন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।