ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
              সাঙ্গ হয়েছে ভোট।প্রকাশিত হয়েছে ফলাফল। সম্পন্ন হয়েছে নব গঠিত মন্ত্রিসভা ও শপথ গ্রহণ। শপথ নিয়েছেন বিধায়করা হয়েছে মন্ত্রিসভার প্রথম ক্যাবিনেট। তারপরও অব্যাহত রাজনৈতিক সন্ত্রাস।
              রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন সন্ত্রাস বন্ধ হওয়ার জন্য।কিন্তু কোথায়? প্রশাসন ঠুঁটো জগন্নাথ। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে জেরবার রাজধানীর প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্র।প্রতিদিন প্রতাপগড়ের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বুদ বুদ গন্ধ শোনা যাচ্ছে। সন্ত্রাসে কারা আক্রান্ত? বিরোধীরা নয়, অধিকাংশ বিজেপির স্ব-দলীয় লোকজন।
              ২৩- র ভোটে প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী রেবতী মোহন দাস। নির্বাচনের আগেই বেজে গিয়েছিল রেবতীর পরাজয়ের ঘন্টা। তারপরও রেবতী মোহন দাসকে প্রার্থী করেছিলো বিজেপি। ভোটের ফল যা হওয়ার কথা ছিলো,তাই হয়েছে।নিশ্চিত পরাজয় ঘটেছে রেবতীর। গণ দেবতারা ভোট না দিলে কি হবে? কিন্তু রেবতী মোহন কিন্তু তার পরাজয়ের জ্বালা ভুলতে পারছেন না। সঙ্গে অবশ্যই আছেন তার গুণধর পুত্র কিশোর দাস।



এলাকার খবর অনুযায়ী, নির্বাচনে পরাজয়ের পর আগ্রাসী মনোভাব নেন রেবতী মোহন দাস। এবং তার পুত্র কিশোর সহ অনুগামীরা। তারা পরাজয়ের ময়না তদন্ত করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট যায়, রেবতী ও তার ছেলে কিশোরের বিপক্ষে। বাপ – বেটার নানান কার্য কলাপের কারণেই বিজেপিকে প্রতাপগড় আসন খোয়াতে হয়েছে। মানুষ তাদের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিল। ভোটের আগেই শেষ পাঁচ বছর রেবতী দাসের গুণধর পুত্র কিশোর ও তার অনুগামীরা গোটা প্রতাপগড় অঞ্চলে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত করেছিলো। দলীয় নেতা কর্মীদের মারধর, দলীয় লোকজনের জমি হরণ ,সরকারি জমি নিজের নামে করিয়ে নেওয়া, ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়, ঠিকাদারি সংস্থার জেসেপি পুড়িয়ে দেওয়া, জিরানিয়া থেকে ব্যবসায়িক ট্রাক ছিনতাই, মহারাজগঞ্জ বাজারে মোটা অংকের বিনিময়ে অবৈধ ভাবে ভিট বন্টন। পাঁচ বছরের অপরাধের সালতামামীর দৈর্ঘ্য অনেক বেশি।
                ২৩- র ভোট যুদ্ধে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে।তার জেরে রেবতী পরাজিত হন।এরপরই শুরু হয়ে যায় সন্ত্রাস।দলীয় লোকজনকে প্রতি মুহূর্তে হামলা – হুজ্জুতি করছে রেবতীর কর্মীরা। রেবতীর অনুগামীরা দলীয় লোকজনকে স্পষ্ট ভাবেই বলছে, “ওরা রেবতীকে ভোট দেয় নি। তার জন্য রেবতী পরাজিত হয়েছেন। এবং সাধারণ মানুষকে এর খেসারত দিতেই হবে।”



এই কারণেই এখন বিজেপির মধ্যে থাকা রেবতী মোহন দাসের বিক্ষুব্ধ  গোষ্ঠীর লোকজনের উপর স্ট্রিম রোল চালু করা হয়েছে। এই সমস্ত মানুষ বাড়িঘরে থাকতে পারছে না। প্রতি মুহূর্তে রেবতী লোকজন গিয়ে  হামলা – হুজ্জুতি করছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে স্ব – দলীয় লোকজনের বাড়িঘর। অর্থাৎ ভোটে পরাজয়ের জ্বালায় এখন এলাকায় সন্ত্রাস জারি রেখেছেন রেবতী।এই কারণেই ফুঁসছে মানুষও।যে কোনো সময় উল্টো হামলার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে গোটা প্রতাপগড় জুড়ে।
          

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *