ডেস্ক রিপোর্টার, ২২মার্চ।।
লোকসভার পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বাঙালি ভোট ব্যাংক নিয়ে মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরের দিদি কৃতি সিং। কৃতিকে প্রার্থী করার বিষয়টি নিয়ে খোদ জনজাতিদের মধ্যেও অসন্তোষের বাতাবরণ প্রবল হচ্ছে। ইতিমধ্যে জনজাতি ভিত্তিক দল আইএনপিটি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে। রিপাবলিক পার্টি থেকেও প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব। এই দলগুলি ছোট হলেও জনজাতি ভোট ব্যাংককে প্রভাবিত করতে পারবে।জনজাতি ভিত্তিক ছোট দলগুলির এই চিন্তা ভাবনা থেকে স্পষ্ট প্রদ্যুতের সিদ্ধান্ত তারা মানতে পারে নি।কারণ দুই দশকের অধিক সময় ধরে যার সঙ্গে রাজ্যের কোনো সম্পর্ক নেই,তাকেই প্রদ্যুৎ বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে সংসদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জনজাতি ভোটের এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে বিজেপির জন্য গোদের উপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে পূর আসনের বাঙালি ভোট। রাজনীতিকরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই প্রদ্যুৎ বাঙালিদের বিষিয়ে তুলেছেন।নানান ভাবে অপমান করেছেন গোটা বাঙালি সম্প্রদায়কে। বাঙালিরা তার সমস্ত বক্তব্য মনে ধরে রেখেছে। তারাও ভোট বাজারে বেঁকে বসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রদ্যুৎ কিশোরের দিদি কৃতি সিংকে পূর্ব আসনের বাঙালিরা পছন্দ করছে না।
প্রদ্যুতের কারণে তারা কৃতিকে প্রত্যাখ্যান করবে। এই ক্ষেত্রে মূল প্রদ্যুতের কিছু না হলেও বিজেপির জন্য বড় ক্ষতি হতে পারে। অধিকাংশ বাঙালি ভোট বিজেপির দিকেই ঝুঁকবে।এটাই ছিলো স্বাভাবিক।কিন্তু পদ্ম প্রতীকে প্রদ্যুৎ কিশোরের দিদি কৃতি সিংকে দেখে বাঙালিরা পিছু টান দিয়েছে।
বাঙালি অংশের মানুষের স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপির প্রার্থী হিসাবে তারা কৃতি সিংকে মেনে নিতে পারছে না। বরং জনজাতি মোর্চার পক্ষ থেকে কাউকে প্রার্থী করলেও বাঙালিরা বিজেপির পাশে থাকতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, এই মুহুর্তে এই বিষয়টি বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু এখন কিছু করার নেই। বাঙালি ভোটের ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য বিজেপি দলের বাঙালি নেতৃত্বদের পূর্ব আসনে প্রচারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতি মধ্যে পূর্ব আসনে প্রচারের জন্য দলের বাঙালি নেতাদের নামের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। ইণ্ডিয়া জোটের প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং।তিনি পূর্বের রিয়াং ভোটে থাবা বসাতে পারেন।এটাও বিজেপির জন্য সুখকর নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।