ডেস্ক রিপোর্টার, ৪এপ্রিল।।
                 কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রদ্যুৎ কিশোরের রাজনৈতিক চুক্তিতে মহা সঙ্কটে খোদ প্রদেশ বিজেপি। ভাজপার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বিজেপি পূর্ব আসনে প্রার্থী করেছে প্রদ্যুৎ কিশোরের দিদি কৃতি সিংকে। কৃতি ছত্রিশগড় থেকে উড়িয়ে এনে প্রার্থী করা হয়েছে। তার সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির কোনো সম্পর্ক ছিলো। গত দুই দশক ধরে কৃতি ছত্রিশগড়ের  রাজ অন্দরে স্বামী – সন্তান – সন্তিদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।তাকেই বিজেপি পূর্ব আসনের প্রার্থী করে দিয়েছে।
                 বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে জনজাতি মোর্চা। বছর ভর তারা তিপ্রামথার সঙ্গে লড়াই করে পাহাড়ে গৈরিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু মোক্ষম সময়ে তারাই ব্রাত্য! আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জনজাতি মোর্চার অনেক নেতাই দিয়েছেন পিছু টান। অঘোষিত ভাবে তারা ঘোষণা করেছে বিদ্রোহ! পূর্ব আসনের দলীয় কর্ম সূচিতে তাদের দেখা যাচ্ছে না। জনজাতি মোর্চার নেতাদের পিছু টানের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাজপার জনজাতি মোর্চার এক নেতার কথায়, “তিপ্রামথার সঙ্গে জোট হওয়ার পর থেকে দলের মধ্যে নাকি তাদের গুরুত্ব কমতে শুরু করেছে।এখন অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে মথার নেতারা।স্বাভাবিক ভাবেই হতাশা গ্রস্থ জনজাতি মোর্চার নেতৃত্ব।”
                   এই জনজাতি নেতার সটান বক্তব্য, প্রদ্যুত কিশোরের দিদি কৃতি সিংকে পূর্ব আসনের প্রার্থী না করলেও বিজেপির জয় নিশ্চিত ছিলো। জনজাতি মোর্চার অনেক নেতাই আছেন, যারা প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তারাই সর্বক্ষণ পাহাড়ে দলের সাংগঠনিক শিকড়কে গভীরে প্রোথিত করছে। অথচ আজ তারাই মূল্যহীন।বিজেপির মধ্যে কদর বাড়ছে মথার নেতাদের। এটা কোনো ভাবেই মানা যায় না।


রাজনীতিকদের বক্তব্য, পাহাড়ের বিজেপির জনজাতি নেতা ও জনজাতি কর্মী – সমর্থকদের মধ্য চোরা স্রোত বইছে। কৃতি সিংকে জনজাতি মোর্চার নেতারা মেনে নিতে পারছেন না। তারা দলের নির্দেশ অনুসারে উপরে দিয়ে মাথা নাড়ছেন শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে। কিন্তু বস্তুত অর্থে জনজাতি নেতারা রাগে ফুঁসছেন। ” জনজাতি মোর্চার এই চোরা স্রোত নির্বাচনের ইভিএমে ভয়ঙ্কর আকার ধারন করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ভোটের হিসাবেও ঘটতে পারে হেরফের। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, জনজাতি মোর্চার চোরা বালির স্রোত ততই তীব্র হচ্ছে। তারমধ্যে  গোদের উপর বিষ ফোঁড়া “বাঙালি ভোট”। পূর্ব আসনের স্থানীয় রিয়াং জন গোষ্ঠীর ভোটও কৃতির পক্ষে নেই খুব একটা। স্থানীয় রিয়াংরা  রাজ পরিবারে সদস্যদের তেমন কোনো আমল দেয় না।তবে মিজোরাম থেকে আগত রিয়াং শরণার্থীদের ভোট অবশ্যই বিজেপির জন্য প্লাস হবে। এদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। সব মিলিয়ে পূর্ব আসন নিয়ে বিজেপির অন্দরেই আতঙ্কের বাতাস বইতে শুরু করেছে, বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তার পেছনে আবশ্যিক কারণ “প্রার্থী কৃতি সিং”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *