ডেস্ক রিপোর্টার, ১১জুলাই।।
     প্রতাপগড় বিজেপির সংসারে অশান্তি।শুরু তিন লবির জম্পেশ লড়াই।মূল উদ্দেশ্য ক্ষমতা দখল
ও অবৈধ অর্থ উপার্জন। সংঘাতের সূচকে প্রাক্তন
বিধায়ক-মণ্ডল ও যুব মোর্চা।খোদ গেরুয়া সৈনিকরা ভূ-লুণ্ঠিত করছে বিজেপির ইজ্জত।পরিস্থিতি পৌছে গিয়েছে এক ভয়াবহ জায়গাতে। কে কোনো সময় প্রতাপগড়   হতে পারে রক্তস্নাত।আশঙ্কা স্থানীয় বিজেপির সমর্থকদের।
  প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্র এখন হয়ে উঠেছে অপরাধের আতুর ঘর। কুশীলবরা সবাই গেরুয়া বাহিনীর সৈনিক। তারা প্রতিদিন অপরাধ মূলক কাজকর্মের মাধ্যমে এলাকায় বিজেপি টিআরপি তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে। এই দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের জন্যই রেবতী দাসকে আসনটি হাত ছাড়া করতে হয়েছিলো। এটা বিলক্ষণ জানেন বিজেপি নেতৃত্ব। ২৩- বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দলের পেটুক নেতাদের মধ্যে অবৈধ অর্থ ধরার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আর তা থেকেই বাড়তে থাকে সংঘাত। শুরু হয় ব্যাপক লবি বাজি।শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে করছে কাদা ছুড়াছুড়ি। এই মুহূর্তে প্রতাপগড় মণ্ডল নিয়েও বিভ্রান্তিতে পড়েছেন গেরুয়া বাড়ির নেতারা।


।।রেবতী মোহন দাস ও তার ছেলে কিশোর দাস।।

অভিযোগ ,তারপরও নিজের লবি নিয়ে রেবতী মোহন দাস ও তার ছেলে কিশোর বাজার থেকে ক্রিম তোলার চেষ্টা করছে। আগের রাজত্ব কায়েম করার জন্য লক লক করছে বাপ – বেটার জিহ্বা। বলছেন খোদ শাসক দলের স্থানীয় লোকজন।

।।চিত্ত রঞ্জন দেব, বাদল ঘোষ ও রাকেশ ঘোষ।।

চিত্তরঞ্জন দেব। তিনি প্রতাপগড় মণ্ডলের সভাপতি । তিনি এলাকার ক্ষমতা দখলের জন্য প্যান্ট কেছে মাঠে নেমেছেন। প্রতাপগড় এলাকায় নেশা কারবারীদের বিচার তিনিই করেন।প্রয়োজন হয় না পুলিশের। দুর্দণ্ড প্রতাপ মণ্ডল সভাপতি কেন একাজ করছেন? তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নেশা কারবারীদের থেকে তিনি নাকি পেয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের অর্থ। গোটা প্রতাপগড়ে গুঞ্জন।  বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য,  চিত্ত রঞ্জন দেবের  রয়েছে দুইজন আপ্ত সহায়ক। একজন বাদল ঘোষ ও অন্যজন রাকেশ ঘোষ। তাদের সামাজিক মর্যাদা বলতে কিছু নেই। বিজেপির নামকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তার কারণ  খোদ মণ্ডল সভাপতি। এরা চিত্ত রঞ্জন দেবের লোক। তাই এলাকায় যা খুশি করবে।

। সমাজদ্রোহী বাদল ও রাকেশের বিরুদ্ধে পোস্টার।।

নেশা সামগ্রী বিক্রি থেকে শুরু করে জমি বাণিজ্য। সমস্ত ধরনের অবৈধ কাজে বাদল – রাকেশ সিদ্ধ হস্ত। নারী দেহ ভক্ষনে বাদল – রাকেশের টি আর পি খুব চড়া। বাদল ঘোষ ও রাকেশ ঘোষের নামে।এলাকায় মানুষ পোস্টারিংও করেছে। বাদলকে এক মহিলার সঙ্গে অসংলগ্ন অবস্থায় মানুষ আটক করে উত্তম – মধ্যম দিয়েছিলো। সেই ছবিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই চিত্ত রঞ্জন দেব তার দুই সাগরেদ দিয়ে প্রতাপগড়ে অরাজকতা শুরু করেছেন। খোদ বিজেপির সমর্থকরা তাদের কার্যকলাপে  বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন।

।।নারী দেহ লোভী বাদল ঘোষ।।

প্রাক্তন বিধায়ক রেবতী দাস ও মণ্ডল সভাপতি চিত্তরঞ্জন দেব লবি বাজি করে লুটে পুটে খাবেন, আর এটা কি চেয়ে চেয়ে দেখবেন যুব মোর্চার নেতৃত্ব।না, এটা কখনো হবে না। নিতে হবে এলাকা দখল। যৌবনের রক্ত গরম মনোভাবের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে অপরাধ জগতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তা না, হলে কি যুব নেতা হওয়া যায়। তাই প্রতাপগড় মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি মনীষ চক্রবর্তীও প্রবেশ করেছেন লবিবাজির রাডারে। নিজের যুব বাহিনী নিয়ে শুরু করেছেন ক্ষমতা দখলের লড়াই। অভিযোগ, জমি বানিজ্য, নেশা কারবার সহ এলাকার অবৈধ অর্থ উপার্জনের প্রতিটি রন্ধ্রের মুখে মনীষ তার সাগরেদদের বসিয়ে দিয়েছেন।


এলাকার মানুষের বক্তব্য সর্ব ক্ষেত্র থেকে মনীষ চক্রবর্তীর অবৈধ অর্থের প্রয়োজন। তাই মনীষের নেতৃত্বে এলাকায় চলছে হুমকি হুজ্জতি। জল গড়াচ্ছে থানা পুলিশে।

।।মনীষ চক্রবর্তী।।

নিজেদের মধ্যে সংঘটিত ঘটনা নিয়ে বিব্রত পুলিশও। হাত খুলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না।প্রতিটি ঘটনার পর থানায় মামলা পাল্টা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।কিন্তু শিকড় এক জায়গাতে। স্বাভাবিক কারণেই পুলিশকে থাকতে হচ্ছে নিষ্ক্রিয়।এই পরিস্থিতিতে অপরাধীদের বুকের সিনা আরো ফুলে গিয়েছে।তারা ভালো করেই জানে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না।


এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতাপগড় মণ্ডলের প্রতিটি বুথে জাকিয়ে বসছে দুর্নীতি।ফলে নাভি শ্বাস উঠছে নাগরিকদের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে জানলেও তারা পাচ্ছে না কোনো সুবিচার।যেকোনো সময় প্রতাপগড় মণ্ডলে ঘটতে পারে বড় ধরনের খুন খারাপির ঘটনা।এমনটাই আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন।তাই এক অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে প্রতাপগড় অঞ্চলের মানুষ। তাই, জনমনে প্রশ্ন অপরাধ দমনে মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি কি শুধুই মুখে মুখে?

















Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *