অমরপুর ডেস্ক।।
ফুট সেফটি ডিপার্টমেন্টের নাম করে অমরপুরের বিভিন্ন দোকানপাট থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। তার নাম সার্থক শীল। তার বাড়ি কৈলাশহরে। ঘটনা অমরপুরের রাঙামাটির টেটন বাজার এলাকায়। কিন্তু এই প্রতারককে বাঁচাতে মাঠে নামেন শাসক দলের স্থানীয় সিকি নেতা পরিমল সাহা। তিনি ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেন। এবং প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।এই অভিযোগ উপস্থিত সাংবাদিকদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই সার্থক শীল উদয়পুর, অমরপুর সহ আশপাশের অঞ্চলের দোকানপাটে হানা দিচ্ছেন। সার্থক নিজেকে একজন ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক বলে দাবি করেন।তিনি দোকানে দোকানে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদ ফেলে প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করেন। এক সময়ে ব্যবসায়ীরা বুঝে যান, সার্থক এখন ভুঁইফুর আধিকারিক।তার সঙ্গে ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই। এরপর থেকেই তাকে আটক করার জন্য তক্কে তক্কে ছিলো ব্যবসায়ীরা।
গত ১অক্টোবর সার্থক শীলকে টাকা প্রাপক ব্যবসায়ীরা উদয়পুরে আটক করে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসে অমরপুর টেটন বাজারে। খবর পেয়ে ছুটে যায় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা।তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় সার্থক শীল জানিয়ে দেন, তার এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত স্থানীয় ব্যবসায়ী পরিমল সাহা। তখন পরিমল অকুস্থলে ছিলো। গোটা ঘটনা ধাপা চাপা দিতে সমাজদ্রোহী পরিমল তেড়ে আসে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের দিকে।এসময় সামনেই ছিলো পুলিশ।
কিন্তু খাকি উর্দি ধারীরা ছিলেন অসহায়। পুলিশের উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের গালাগাল করে পরিমল। তিনি নাকি শাসক দলের আধুলি নেতা। আবার টেটন বাজারের বাজার কমিটির সম্পাদকও বটে। খবর অনুযয়ী, সার্থক শীলের প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত বিজেপির স্ব – ঘোষিত আধুলি নেতা পরিমল সাহা। সার্থকের মুখে তার নাম আসতেই পেটে চিপ ধরে।এই কারণেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্যই প্রতারক পরিমল সাহা সংবাদিকদের হাতে চড়াও হন।