ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
            ফের তপ্ত হচ্ছে কাঞ্চনপুরের পরিবেশ। আত্ম সমর্পণকারী বৈরীরা কাঞ্চনপুরে ফরেস্ট ল্যান্ড দখল করার ঘটনা কেন্দ্র করে বিষিয়ে উঠেছে গোটা মহকুমা। অনুপজাতি অংশের মানুষ এখন ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। প্রসাশন এখনো জবর দখলকারীদের বিরূদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। রাজ্য প্রশাসনের এই হাঁটু ভাঙ্গা অবস্থা দেও উপতক্যার পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে দিয়েছে।এবার খোদ মাঠে নেমেছে কাঞ্চনপুরের বিজেপি। গোটা ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এক স্মারক লিপি তুলে দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শান্তনা চাকমার হাতে।


রবিবার রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী শান্তনা চাকমা উত্তর জেলার একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।সেখানেই কাঞ্চনপুর মণ্ডলের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর হাতে
  স্মারক লিপি তুলে দেওয়া হয়। কাঞ্চনপুর মণ্ডলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কাঞ্চনপুরের মনু – মনপুঁই রাস্তা লাগোয়া ফরেস্ট ল্যান্ড অনৈতিক ভাবে জবর দখল করেছে ১২০০ আত্মসমর্পনকারী জঙ্গিরা।তারা প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে এই অঞ্চলে অস্থায়ী বসতি তৈরি করছে। প্রতিদিন বাড়ছে তাদের সংখ্যা।শুধু তাই নয়, আত্মসমর্পনকারী জঙ্গিরা নানান ভাবে অশান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।


পুনর্বাসনের নাম করে তারা এই সমস্ত জমি দখল করেছে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে কাঞ্চনপুর থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।কিন্তু পুলিশ প্রশাসন অসহায়।এভাবে আরো কিছু দিন চলতে থাকলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছে খোদ মণ্ডল নেতৃত্ব। অতি সত্ত্বর প্রশাসনকে বিষয়টি শক্তি হাতে মোকাবিলা করার জন্য দাবি জানিয়েছে স্থানীয় ভাজপা নেতৃত্ব।


মন্ত্রী শান্তনা চাকমা কাঞ্চনপুর মণ্ডল নেতৃত্বকে আশ্বস্থ করেছেন।তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার সঙ্গে। খুব শীঘ্রই গোটা বিষয়টি প্রশাসন ড্যামেজ কন্ট্রোল করবে বলেও মন্ত্রী শান্তনা চাকমা জানিয়েছেন। গোয়েন্দার রিপোর্ট বলছে, আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা পুর্ব পরিকল্পিত ভাবেই কাঞ্চনপুরে জমি দখল করেছে।তাদের এই জমি জবর দখলের পেছনে এক গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এক সময় গোটা কাঞ্চনপুরে মিজোরাম থেকে আগত রিয়াং শরণার্থীরা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখতো। তারা নানান সময়ে মিনি দাঙ্গার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলো।


অনেক বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষকে তাদের স্বপ্নের ভিটেমাটি ছেড়ে আসতে হয়েছিল। বিজেপি সরকার রিয়াং শরণার্থীদের বিভিন্ন জায়গাতে পুনর্বাসন দিলেও একটা অংশ কাঞ্চনপুর ছাড়ে নি। তাদের কারণে এখনো বিঘ্নিত হয় শান্তি পরিবেশ। এই পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত অবস্থা এখন প্রাক্তন জঙ্গিদের জমি বেদখলের ঘটনা। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জমি দখল করে ফের কাঞ্চনপুরের আকাশে সাম্প্রদায়িকতার ঘন বিষ বাষ্প ছাড়ানোর ব্লু প্রিন্ট রচনা করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *