
ডেস্ক রিপোর্টার, ২১ডিসেম্বর।।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জোট রাজনীতি নিয়ে ক্রমশঃ তৈরী হচ্ছে ধোঁয়াশা। আসন বণ্টন নিয়ে চলছে কংগ্রেস – তৃণমুলের মধ্যে টান পুড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে রুখতে জোটের ক্যানভাস কি হয়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুটা দিন। কংগ্রেস – তৃণমূলের জোট সমীকরণের দিকে তাকিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ভারতীয় জনতা পার্টি।
দিল্লীতে ইণ্ডিয়া জোটের সর্ব শেষ বৈঠকে কংগ্রেসের হাই কমান্ড ঠারে ঠুরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে আটকাতে গোটা দেশেই জোট সমীকরণের পথে হাঁটবে তারা। ব্যতিক্রম হবে না বাংলার রাজনীতিতেও। তবে হাই কমান্ডের এই সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণাংশে এক মত নন বাংলার অধীর চৌধুরীর কংগ্রেস।অধীর দলের হাই কমান্ডকে স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন,বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট সম্মানজনক হতে হবে।অন্যথায় তারাও বেগরা দেবে।

বাংলার রাজনীতির অলিন্দের তথ্য বলেছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৬থেকে ৭টি আসন দাবি করবে। এই আসন মিললেই তারা তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যাবে। বাংলার রাজনীতিকদের বক্তব্য, অধীর চৌধুরীর কংগ্রেসের এই স্বপ্ন অষ্টাদশ লোকসভায় পূরণ হবে না। সম্ভবনা একেবারেই ক্ষীণ। কারণ,ইতিমধ্যে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে,কংগ্রেসকে দুইটি আসনের বেশী দেওয়া হবে না।বর্তমানে বাংলার দুইটি লোকসভা আসনই কংগ্রেসের দখলে। একটি অধীর চৌধুরীর বহরমপুর এবং অন্যটি মালদহ উত্তর৷ কিন্তু বাংলার কংগ্রেস এই দুইটি আসনের বাইরেও মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, মালদহ দক্ষিণ আসনেও লড়তে চায় নেতৃত্ব।

দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সর্ব শেষ বৈঠকেও আসন রফার কোনো সমাধান সূত্র বের হয় নি।কিন্তু আসন রফার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার লোকসভা ভোটে জোটের ভবিষ্যৎ ধাবিত হচ্ছে ঘুটঘুটে অন্ধকারে দিকে।