ডেস্ক রিপোর্টার, ৩১জানুয়ারি।
                   একজন বাবা হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও, একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ডিএসপি প্রসূন ত্রিপুরা।তিনি বর্তমানে আমতলীর এসডিপিও। প্রসূন ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনকে করেছেন কালিমা লিপ্ত। পুলিশের খাতায় প্রসূন এখন একজন অভিযুক্ত। তারপরও “পুলিশ” বলে প্রসূন অপরাধ চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে খোদ আরক্ষা প্রশাসন। বিশেষ করে পশ্চিম জেলার এসপি  কিরণ কুমার। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রের খবর, জগৎপুর কাণ্ডের জেরে খুব শীঘ্রই চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত হতে পারেন কলমচিদের পকেটে অর্থ গুঁজে দিয়ে প্রচারের আলোতে থাকা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন ত্রিপুরা।


গত ২৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর জগৎ পুরে প্রসূন ত্রিপুরা ছেলের গাড়ির সঙ্গে একটি টমটমের সংঘর্ষ হয়। গাড়িতে ছিলো প্রসূন ত্রিপুরার মেয়েও।এই ঘটনা কেন্দ্র করে প্রসূন ত্রিপুরা ছেলে,মেয়ের সঙ্গে টমটম চালক সহ স্থানীয় কিছু লোকজনের মারামারি হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে প্রসূন ত্রিপুরা অকুস্থলে ছুটে যান। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে শুরু করেন গুন্ডাগিরি। পথ চলতি লোকজনকে প্রসূন মারধর করে।এবং তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসে অভয়নগর ফাঁড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন খোদ এসপি কিরণ কুমারও।


প্রসূন ত্রিপুরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে নিরীহ লোকজনকে মারধর করে।তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক কৌশিক দেবনাথ। তাকে বিবস্ত্র করে শারিরীক ভাবে নিগৃহীত করে। অভিযোগ কৌশিকের পিতার। এই ঘটনার পর কৌশিক দেবনাথের পরিবারের পক্ষ থেকে এনসিসি থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ লঘু ধারায় মামলা রুজু করে। প্রসূন বাঁচার রাস্তা করে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কৌশিক দেবনাথের পরিবারের লোকজন পুলিশ সদর দপ্তরেও ডেপুটেশন দিয়েছিলো। সব মিলিয়ে প্রসূন ত্রিপুরার এই গুন্ডাগিরির ঘটনায় চাপে আরক্ষা প্রশাসনও।


গুন্ডা এসডিপিও প্রসূন ত্রিপুরার শাস্তি চেয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজধানীতে রাস্তা অবরোধ করবে জগৎপুর এলাকার মানুষ।পরিস্থিতি আরোও ঘোলাটে হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই পরিস্থিতি টালমাটাল বুঝে পুলিশ প্রশাসন প্রসূন ত্রিপুরার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। তার জন্যই প্রাথমিক ভাবে গুন্ডা প্রসূনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরক্ষা প্রশাসন । নির্যাতিত চিকিৎসক কৌশিক দেবনাথের পক্ষ থেকে পুলিশ দায়বদ্ধতা কমিশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা নালিশ জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশনেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *