ডেস্ক রিপোর্টার, ২১জুন।।
    রাজ্য রাজনীতিতে শুরু নতুন ডাইমেনশন।রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে বিরোধী দল তিপ্রামথার।রাজ্যপাল তিপ্রামথা নেতৃত্বকে
কোনো গুরুত্বই দিচ্ছেন না।রাজ্যপালকে নিরপেক্ষ থাকার  বার্তা প্রদ্যুৎ কিশোরের।
   রাজ্যে দীর্ঘ বাম জামানার শেষ দিকে শাসক দল সিপিআইএম সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছিল রাজ্যপালের। তখন রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন তথাগত রায়। কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের শাসন কালে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকার বা সিপিআইএমের তেমন কোনো সংঘাতের ঘটনা আর নেই।


এক্ষেত্রে এগিয়ে পশ্চিমবাংলা।প্রায়শই রাজ্য সরকার,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালের মধ্যে চলতে থাকা সংঘাত রাজনৈতিক সৌজন্যতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দেশের বর্তমান উপ রাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখর বাংলার রাজ্যপাল থাকা কালীন সরকারের সঙ্গে তার সংঘাত গোটা দেশে নজির। এই সংস্কৃতি এবার রাজ্যেও প্রবেশ করছে বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।


সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দল তিপ্রামথা নেতৃত্ব ডেপুটেশনের জন্য গিয়েছিলেন রাজভবনে। তারা দেখা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ন আর্য্যর সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যপাল প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নি। খুলা হয়নি রাজভবনের গেট। গোটা রাজভবন চত্বরে ছিলো পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ছয়লাপ। প্রদ্যুৎ কিশোরের নেতৃত্বে মথার নেতারা রাজভবনের সামনে কিছুক্ষন ধর্নায় বসে ছিলো। তাতেও রাজ্যপাল কোনো ধরনের সাড়া দেন নি। শেষ পর্যন্ত তারা চলে আসেন বিষণ্ণ বদনে।


রোমান স্ক্রিপ্ট চালু করার দাবিতে বুধবার রাজভবন অভিযান করেছিলো তিপ্রা ইনডিজিনিয়াস  স্টুডেন্ট ফেডারেশন।   তিপ্রামথা নেতৃত্বের অভিযোগ,  রাজ্যপাল ছাত্রদের ডেপুটেশন গ্রহণ করেন নি।বরং এই অভিযান  চলাকালে পুলিশ আন্দোলনকারী ছাত্র – ছাত্রীদের উপর লাঠি চার্জ ও জল কামান ব্যবহার করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রদ্যুৎ কিশোর তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, ছাত্র ছাত্রীরা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে।কিন্তু সরকার তাদের কথা শুনছে না।


এটা তিনি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
প্রদ্যুৎ কিশোর রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজ্যপালের ২মিনিট সময় নেই মথার নেতাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। ছাত্ররা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছিলো।কিন্তু রাজ্যপাল সময় দেন নি। উল্টে পুলিশের লাঠির আঘাত সহ্য করতে হয়েছে তিপ্রাসা ছাত্রদের।
  রাজনীতিকরা বলছেন, রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য্য ও তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরের  মধ্যে দ্বৈরথ দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে। যদিও প্রদ্যুৎ কিশোরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল কোনো মন্তব্য করেন নি। বা মন্তব্য করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন নি। তবে  রাজ্যপাল ও প্রদ্যুৎ কিশোরের এই দ্বৈরথ দিন দিন রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা এনে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পুলিশের দাবি, বুধবারে তিপ্রামথার ছাত্র – ছাত্রীরা রাজভবনে আন্দোলনের নামে হিংসা ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলো। আন্দোলনকারীদের প্রথমে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।কিন্তু তারা পুলিশের কথায় কর্নপাত করে নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ বাধ্য হয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের ছত্র ভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও জল কামানের ব্যবহার করেছে। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইট পাটকেলে পুলিশ কর্মীরাও অল্প বিস্তর আহত হয়েছেন বলে দাবি আরক্ষা প্রশাসনের।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *