কাঞ্চনপুর ডেস্ক,১৭সেপ্টেম্বর।।
রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ।বিভিন্ন জায়গাতে শাসক দল সন্ত্রাস করছে। অভিযোগ বিরোধী সিপিআইএম’র।কিন্তু ২৩-এ ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর কমিউনিস্টরাও নানান দিকে সন্ত্রাসের জাল বোনা শুরু করে দিয়েছে। এর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায় উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমার লালজুরি ব্লকের মাকুমছড়া এডিসি ভিলেজে।অভিযোগ এলাকার বাম মার্গীয় নেতা প্রভাত দেবনাথ ও তার পুত্র সুজন দেবনাথ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের কনসার্ন ফ্রম নিতে এসে মারধর করেছে পঞ্চায়েত সুপারভাইজার জনার্ধন দেওয়ানকে।ভাঙচুর করেছে গোটা অফিস।অভিযোগ করেছেন খোদ পঞ্চায়েত সুপারভাইজার জনার্ধন দেওয়ান। ঘটনা গত ১৪ সেপ্টেম্বর। বিষয়টি জানিয়ে থানা পুলিশে মামলা করলেও পুলিশ বামমার্গীয় দুস্কৃতিদের গ্রেফতার করেছে না।
শারীরিক ভাবে নিগৃহীত মাকুমছড়া এডিসি ভিলেজের পঞ্চায়েত সুপারভাইজার জনার্ধন দেওয়ান বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে
পঞ্চায়েতে আসে প্রভাত দেবনাথ ও তার পুত্র সুজন দেবনাথ।তারা অফিসে এসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের কনসার্ন ফ্রমের খোঁজ করেন। জানার্ধন দেওয়ান তাদেরকে একটু অপেক্ষা করতে বলেন।
পঞ্চায়েত সুপারভাইজারের বক্তব্য, হঠাৎ করে প্রভাত দেবনাথের ছেলে সুজন দেবনাথ তার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলতে শুরু করে।এই ঘটনা দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন জনার্ধন দেওয়ান।তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বামমার্গীয় বাপ-বেটা।
জনার্ধান দেওয়ান জানান, তিনি কিছু বুঝে উঠার আগেই দুস্কৃতি প্রভাত ও তার ছেলে সুজন যৌথভাবে হাত সাফাই শুরু করে। ভাঙচুর করে অফিসের আসবাবপত্র।জনার্ধনের আত্মচিৎকারে ছুটে আসে আশপাশ এলাকার মানুষ।পরিস্থিতি প্রতিকূলে দেখে পঞ্চাযেত
অফিস থেকে বেরিয়ে যায় প্রভাত ও তার ছেলে সুজন।এবং বাইকে সওয়ার হয়ে কেটে পরে
পঞ্চায়েত অফিস থেকে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নির্মল নম:,বলেন স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না এলে দুস্কৃতিরা
পঞ্চায়েত সুপারভাইজার জনার্ধন দেওয়ানকে আরো মারধর করতে পারতো। অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়।এই ঘটনার পর থানায় দুই দুস্কৃতির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন পঞ্চায়েত সুপারভাইজার জনার্ধন দেওয়ান।স্থানীয় মানুষও দাবি তুলে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য।কিন্তু ঘটনার চারদিন অতিক্রান্ত হলেও বামমার্গীয় দুষ্কৃতির প্রভাত দেবনাথ ও তার ছেলে সুজন দেবনাথকে গ্রেফতার করেনি।পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয় স্থানীয় জনমনে।তাহলে পুলিশও কি ভাবছে ২৩-ফিরছে বামেরা?তাই ক্যাডার বাহিনীর দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে নমনীয় পুলিশ। পুলিশের কার্যকলাপে জনমনে উঠছে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন।