ডেস্ক রিপোর্টার,১৪ মার্চ।।
দুলাল দত্ত।বিনয় লোধ ও রাজেশ সরকার।রাজধানীর খায়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের মনে আজও জ্বলজ্বল করছে ত্রিমূর্তির ছবি।
তারা কে? কি তাদের পরিচয়? খুব ভালো ভাবেই জানেন খয়েরপুর কেন্দ্রের মানুষ। বাম জামানায় কে ছিলেন তাদের গড ফাদার? এই তথ্যও সবার কাছে জানা। অভিযোগ, তৎকালীন সিপিআইএম বিধায়ক পবিত্র করের আশ্রয় – পশ্রয়ে বেড়ে উঠেছিল বোধজং নগরের এই ত্রিমূর্তি।এখন বাম জামানার ত্রিমূর্তিকে সামনে রেখে বুড়ো হারের ভেলকি দেখাতে চাইছেন কেউ কেউ। তারও পর্দা ফাঁস করবে “জনতার মশাল “। তার আগে দুলাল – বিনয় – রাজেশদের পূর্ব ইতিহাঁসের দিকে একবার নজর দেওয়া যাক।
১৯৯৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা বাম জামানায় বোধজংনগর, বণিক্য চৌমুহানী সহ গোটা খয়েরপুরে তাদের নিজস্ব প্রশাসন। দিবালোকে খুন, অপহরন, তোলাবাজি, নিগোসিয়েশন কারবার, জমি বানিজ্য সবেতেই ছিলো তাদের হাত। দুলাল – বিনয়দের নাম মুখে নিয়ে মায়েরা তাদের ছোট শিশুদের দুধ খাওয়াতেন। তাদের নামে খয়ের পুরের মানুষ এতোটাই আতঙ্কিত ছিলো। তারা ছিলো হার্মাদ বাহিনীর এলিট ক্লাসের সদস্য।
২০১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিনয় – দুলাল – রাজেশ সহ তাদের সঙ্গীদের এলাকা ছাড়তে হয়। কারণ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ক্ষমতাও শেষ হয়ে যায়। গণ পিটুনির হাত থেকে বাঁচতে তারা অট্টালিকা সমেত বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে যায়। হয়ে যায় রাজ্যন্তরি। বেশ কয়েক বছর গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর ধীরে ধীরে তারা পেটুক বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।এবং চলে আসে রাজ্যে। মোটা টাকা ট্যাক্সের বিনিময়ে বিনিময়ে হার্মাদ বাহিনীর গুন্ডা দুলাল -বিনয় – রাজেশরা আশ্রয় নিয়েছিল শহর দক্ষিণের এক শাসক দলীয় বিধায়কের ফ্ল্যাটে। এই ফ্ল্যাটে বসেই ১৮ থেকে ২৩ এই পাঁচ বছর কাটিয়ে নেয়। ২৩- র নির্বাচনে আশ্রয় দাতা বিজেপির বিধায়কের ফ্ল্যাটে বসেই সিপিআইএমের সদর দপ্তর মেলারমাঠে দুলাল – বিনয়রা পাঠিয়েছিল মোটা অঙ্কের বান্ডিল।কিন্তু সিপিআইএম ক্ষমতায় আসে নি।
সিপিআইএমের খুনি – সন্ত্রাসী বিনয় – দুলাল- রাজেশ এখনো এলাকায় প্রবেশ করতে পারে নি। খয়েরপুরের বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, বিনয় – দুলাল -রাজেশরা এখন শরনাপন্ন হয়েছে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রতন চক্রবর্তীর কাছে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে আসা রতন চক্রবর্তী নাকি বাম সন্ত্রাসীদের বুকে টেনে নিয়েছেন। “জনতার মশাল”- র দপ্তরে এসে এই তথ্য উগলে দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির নিষ্ঠাবান কর্মীরা।বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, বিনয় – দুলাল -রাজেশদের কাঁচা নোটের গন্ধে সুবক্তা রতন চক্রবর্ত্তী মোহিত হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির কর্মীদের কথায়,তিনি নাকি আশ্বস্ত করেছেন দুলাল – বিনয় – রাজেশদের নিয়ে আসবেন এলাকায়। এবং তাদের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে নিয়ে বিজেপির রাজনীতির ব্যাটন ছেড়ে দেবেন।যেন রাজনীতির সায়ন কালে উচ্ছিষ্ট থেকে নোট তুলে নিতে পারেন।বিজেপির দুর্দিনের কর্মীদের ছেটে দিয়ে রক্ত পিপাসু দুলাল – বিনয় – রাজেশদের নিয়েই রাজনীতির পথ চলার অঙ্গীকার নাকি করেছেন অপরোপকারী বিধায়ক রতন চক্রবর্তী।বাম সন্ত্রাসী দুলাল , বিনয় ও রাজেশের সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক রতন চক্রবর্তীর সম্পর্কের উপাখ্যান এখানেই শেষ হয় নি। এটা প্রথম পর্ব। বিজেপির কর্মীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই উপাখ্যানের আরো কয়েকটি পর্ব ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত করবে “জনতার মশাল”।