। বিএমসি’র চাকরী কেলেঙ্কারীর কুশীলব।

ডেস্ক রিপোর্টার,২৭ আগস্ট।।
    একজন বেকার যুবক কৈফিয়ত চাইছেন, কেন বিলোনিয়া পুর পরিষদ সাব্রুমের একজন ভোটারকে ডিআরডাব্লিউ- র চাকরি দিয়েছে। যুবক কৈফিয়ত চাইছেন, বিলোনিয়া পুর পরিষদের চেয়াম্যান নিখিল চন্দ্র গোপের কাছে। কিন্তু মহামান্য চেয়ারম্যান বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী তথা এই বেকার যুবককের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেন নি।


কৈফিয়ত চাওয়া যুবকটির নাম দেবজিত দাস ওরফে আকাশ। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বাম কর্মীদের হাতে আক্রান্তও হয়েছিল দেবজিত। তার মা রীনা দাসও বিলোনিয়া পুর সভার একজন কাউন্সিলার। তারপরও কপালে চাকরি জুটে নি দেবজিত দাসের।

। চাকরী বঞ্চিত যুবক দেবজিত দাস।।

সম্প্রতি বিলোনিয়া পুর পরিষদ সাত জন ডি আর ডাব্লিউ কর্মী নিয়োগ করে। ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন  পূজা ধর বিশ্বাস।  তিনি সব্রুমের বাসিন্দা এবং ভোটার। স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাস। ইদানিং কালে পূজা ধর বিলোনিয়া বেলটিলা এলাকায় একটি জমি রেখেছেন। পূজা ধরের রাজনীতির হাতও কম লম্বা নয়।তার পিতা ভূলন ধর এক সময়ে ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাই স্থানীয় বিজেপির নেতারাও বেকারদের বঞ্চিত করে পূজাকে পাইয়ে দিলেন চাকরি। পুর পরিষদের এই  ডি আর ডাব্লিউ – র চাকরির মাসিক বেতন প্রায় ১৪হাজার টাকা।

ভাগ্যবতী নেতার মেয়ে(গৃহবধূ) পূজা ধর।

অবাক করার মতো ঘটনা বিলোনিয়া পুরপরিষদের ৭নম্বর ওয়ার্ডের  কাউন্সিলার রীনা দাসের ছেলে আকাশ দাসের প্রশ্নের উত্তরে আটকে গিয়ে চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র গোপ খোদ বিজেপির সঙ্গেও গদ্দারি করেন।কারণ নিখিল নিজেই বলেছেন, তিনি এখন পার্টিতে নেই। তাহলে কোথায় আছেন? হাস্যকর।ভারতীয় জনতা পার্টি তাকে নির্বাচনে টিকিট দিয়েছে বলেই তিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন।


চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত দেবজিত ওরফে আকাশ আরটিআই করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিলোনিয়া পুর পরিষদ আরটিআই’র কোনো উত্তর দেয় নি। শাসক দলের কর্মীদের বক্তব্য, এই চাকরী কেলেঙ্কারির পেছনে রয়েছেন বিলোনিয়া পুর পরিষদের কাউন্সিলর তথা স্থানীয় ক্যাবল ব্যবসায়ী অনুপম চক্রবর্তী।


কাউন্সিলর বাবুল ভৌমিক।তিনি আবার ঋষ্যমুখ মণ্ডলের সহ সভাপতি তথা তোলাবাজ বাদল ভৌমিকের দাদা। সঙ্গে আছেন মণ্ডল সভাপতি গৌতম সরকার।


যদিও বিলোনিয়াতে গুঞ্জন, ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে গৌতম সরকারের পেছনে নাকি অনুপম, বাবুল, বাদল, পার্থরা সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এখন আবার রসুনের সব কোয়া একই জায়গাতে চলে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *