
ডেক্স রিপোর্টার, ২৯আগস্ট।।
বিশালগড় সেন্ট্রাল জেলে রহস্য মৃত্যু এক হাজতির। তার নাম বাবুল দাস (৪০)।বাড়ি রাজধানীর ক্যাম্পের বাজার নন্দীটিলা এলাকায় ।গত ১৪জুলাই পশ্চিম থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিলো।আদালত তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো।মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ বাবুলের মৃত্যু হয় জেল অন্দরে।কিভাবে মৃত্যু হয়েছে হাজতি বাবুল দাসের?মৃত্যু নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য যথেষ্ট সন্দেহজনক।

বিশালগড় কেন্দ্রিয় কারাগার বরাবর অপরাধের আখড়া। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবেই কারাগারে থাকা কয়েদি – হাজতিদের সংশোধন করতে পারছে না। বরং জেলের আবাসিকরাও প্রতিদিন সরাসরি দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে। তার জন্য দায়ী কারাগার কর্তৃপক্ষ।

বাবুল দাসের বিরুদ্ধে রাজধানীর পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। মামলার নম্বর ৩৪/২৩। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ ও ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। পুলিশ তাকে সোপর্দ করেছিলো আদালতে।আদালত বাবুল দাসকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। মঙ্গলবার দুপুর নগদ অচমকা জেল অন্দরে অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবুল দাস। তার মাথা দিয়ে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। সঙ্গে সঙ্গে বাবুলকে নিয়ে আসা হয় বিশালগড় হাসপাতালে।সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় জিবিতে। জিবিতে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বাবুল দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাবুল দাস কারাগারের সিড়ি থেকে পড়ে যায়।তখন তার মাথা দিয়ে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে জেলের ভিতরে কিভাবে সিড়ি থেকে পড়ে গেলো হাজতি বাবুল?

গোটা ঘটনা রহস্য জনক। তাছাড়া জেলের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তার। সব মিলিয়ে হাজতি বাবুল দাসের মৃত্যু জেল অন্দরে এক রহস্যের কাল সিটে দাগ কেটে দিয়েছে।