ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
       নিরাপত্তাহীন আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক।
রাতের আঁধারে সড়কে দুষ্কৃতীর আস্ফালন। দুষ্কৃতীর হামলায় রক্তাক্ত বেশ কয়েকজন পথচারী।
প্রতিবাদে রাতেই অবরোধ জাতীয় সড়ক।
ঘটনা বড়মুড়া খামতিং বাড়িতে।এক সময় আসাম – আগরতলা সড়কের বড়মুড়া ও ১৮- মুড়া রেঞ্জ ছিলো অতি স্পর্শকাতর।


জাতীয় সড়কে বহু রক্ত ঝড়িয়ে ছিলো বৈরীরা। জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য রাতে জাতীয় সড়কে বন্ধ ছিল যান চলাচল। সড়কে ২৪ ঘন্টা ছিলো নিরাপত্তাকর্মীর টহল। জঙ্গি আতঙ্কের মধ্যেই মানুষ চলাচল করতো জাতীয় সড়কে। এখন পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে।নেই বৈরী দৌরাত্ম্য। জাতীয় সড়ক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে নিয়মিত নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। দিন – রাত মানুষ ভয় মুক্ত অবস্থায় চলাচল করে জাতীয় সড়কের বুক চিড়ে।


মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ জাতীয় সড়কের বড়মুড়া রেঞ্জে ঘটে নিরাপত্তার ছন্দপতন। বেআব্রু হয়ে যায় পুলিশী নিরাপত্তা। এদিন রাতে তেলিয়ামুড়া থানাধীন বড়মুড়ার খামতিং বাড়ি এলাকার কয়েকজন যুবক কোন একটি কাজে জিরানীয়া থানাধীন চম্পকনগরে গিয়েছিল। ফেরার পথে চম্পক নগর ফাঁড়ির ঢিল ছুঁড়া দূরত্বে  পথচারী যুবকদের উপর রাস্তায় থাকা দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র সহ আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। এক সময় আক্রান্ত যুবকরা বাঁচার জন্য চম্পক নগর ফাঁড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে।কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।তখনও হামলা করে দুষ্কৃতীরা।হামলার কারণ কিছুই বুঝতে পারে নি আক্রান্ত যুবকরা।


এই ঘটনার পর আক্রান্ত যুবকরা চলে আসে খামতিং বাড়িতে। এবং করে জাতীয় সড়ক অবরোধ। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পথ অবরোধ করার ফলে আটকে যায় দূরপাল্লার যানবাহনগুলি।খবর পেয়ে ছুটে আসে জীরানিয়া ও তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। জীরানিয়া এসডিপিও হিমাদ্রী দাস ও তেলিয়ামুড়ার এসডিপিও প্রসূন ত্রিপুরার হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারী পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে।জানিয়েছেন তেলিয়ামুড়ার এসডিপিও প্রসূন ত্রিপুরা।


কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাতের আঁধারে জাতীয় সড়কে পথচারীদের উপর হামলার ঘটনা এক অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে।এখন জাতীয় সড়কে নেই পুলিশী টহল। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহি গাড়ীতে দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা হূজ্জতি করলে টালমাটাল হয়ে উঠবে জাতীয় সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
   


তখন আতঙ্ক বাড়ছে জনমনে। মঙ্গলবার রাতের স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সংঘটিত এই ঘটনার পেছনে কি অন্য রহস্য লুক্কায়িত রয়েছে? গুঞ্জন জনমনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *