ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯ডিসেম্বর।।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসক দল বিজেপি খুব শীঘ্রই বিভিন্ন মোর্চার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করছে। একই সঙ্গে রাজ্য কমিটিতেও হবে বড়সড় রদবদল। দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক বি এল সন্তোষের রাজ্য সফর কালেই এই সমস্ত সাংগঠনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বি এল সন্তোষ। এদিন সকলেই রাজ্য নেতৃত্ব বিভিন্ন মোর্চার সভাপতিদের নাম সহ রাজ্য কমিটির নতুন সদস্যদের পাঠিয়ে দিয়েছে দিল্লিতে। এই সব নামের তালিকায় শীলমোহর দিয়েছে বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব। বিএল সন্তোষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তা ঘোষনা করা হবে।মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা বুধবার সকালেই ঘোষণা করা হবে বিভিন্ন মোর্চার সভাপতি ও রাজ্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন সদস্যদের নাম।
কৃষ্ণনগর কুশাভাউ ভবনের তথ্য বলছে, প্রদেশ বিজেপির প্রতিটি মোর্চাতেই সভাপতি পদে আসছেন নতুন মুখ। প্রদেশ যুব মোর্চার বিজেপির ইয়ং ব্রিগেড। ভোট বাজার সহ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকে যুব মোর্চা। স্বাভাবিক ভাবেই যুব সংগঠনের প্রধান মুখের গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্তমানে প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতির দায়িত্বে আছেন নবাদল বনিক। এই যাত্রায় প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরতে হচ্ছে নাবদলকে। নবাদলের পরিবর্তে প্রদেশ যুব মোর্চার নতুন সভাপতি হচ্ছেন বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব।
বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হচ্ছেন
অজন্তা ভট্টাচার্য। বর্তমান সভানেত্রী ঝর্না দেববর্মা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন। তাই তাকেও সরে যেতে হচ্ছে মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে। ওবিসি মোর্চার নতুন সভাপতি হচ্ছেন সুকান্ত ঘোষ। তিনি বর্তমানে ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। এসসি মোর্চার নতুন সভাপতি হচ্ছেন অরবিন্দ দাস। এই মুহূর্তে তিনি আছেন সদর জেলার শহরাঞ্চল কমিটিতে। জনজাতির মোর্চার নতুন মুখ হচ্ছেন এডিসির এমডিসি ভূমিকা নন্দন রিয়াং। বর্তমানে জনজাতি মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। মন্ত্রীকে সরতে হচ্ছে জনজাতি মোর্চার সভাপতির দায়িত্ত্ব থেকে।কিষান মোর্চার রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে আসছেন আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেটর অভিজিত মল্লিক।মাইনোরেটি মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী প্রাক্তণ মন্ত্রী বিল্লা মিয়াকে।
ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দর মহলের খবর, রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকদের পদ থেকে সরানো হচ্ছে নেত্রী পাপিয়া দত্তকে। তার জায়গাতে আসছেন প্রাক্তন বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ। পাপিয়া দত্তকে দেওয়া হতে পারে সহ – সভাপতির দায়িত্বে। বড় চমক সাংসদ রেবতী ত্রিপুরাকে নিয়ে। নতুন করে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাকে ।ভারতীয় জনতা পার্টির এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।কারণ, রেবতী ত্রিপুরাকে এই মুহূর্তে সাধারন সম্পাদকে দায়িত্ব দেওয়া মানেই, লোকসভার পূর্ব আসনের প্রার্থীর দৌঁড় থেকে ছিটকে যাওয়া।
অমিত রক্ষিত আসিন থাকবেন তার সাধারণ সম্পাদকের পদেই । অর্থাৎ প্রদেশ বিজেপির বর্তমান রাজ্য কমিটিতে সাধারন সম্পাদক থাকবেন তিন জন।
ভারতীয় জনতা পার্টির সম্পাদক পদে আসছেন বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। তাদের মধ্যে রয়েছে যুব মোর্চার প্রাক্তন নেতা সম্রাট ঘোষ, জয়লাল দাস। বর্তমান প্রদেশ যুব মোর্চার সম্পাদক রানা ঘোষও প্রদেশ কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বে আসছেন। প্রদেশ কমিটির সহ-সভাপতি পদগুলিতে হবে রদবদল। বসিয়ে দেওয়া হতে পারে বয়সের ভারে নুজ্য নেতাদের।