ডেস্ক রিপোর্টার,৬ডিসেম্বর।।
লক্ষ্য ২৩-র মহারণ। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে মানুষের কাছে পৌঁছার রোডম্যাপ তৈরি করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম। মঙ্গলবার থেকেই সারা রাজ্যে “বুথ চলো” অভিযান শুরু করবে সিপিআইএম।সোমবার রাজ্য সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের এই সাংগঠনিক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
সাংবাদিক বৈঠকে জিতেন্দ্র চৌধুরী মন্তব্য করেন,সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোটে স্পস্ট হয়ে গেছে শাসক দলের সঙ্গে আর থাকতে চাইছে না। কারণ নির্বাচনের মোট ভোটের পঞ্চাশ শতাংশ পড়েছে ছাপ্পা ভোট।তাই বিজেপিকে এই ভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি’র এই দুর্নীতি মানুষের সামনে নিয়ে যাবে সিপিআইএম।এবং মানুষকে করতে হবে উদ্বুদ্ধ।এই কারণেই বুথ চলো অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কমিটি।এদিন রাজ্য কমিটির বৈঠকের শেষেই সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।
দলের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে পুরো শক্তি নিয়ে দ্রুত মাঠে নামবে সিপিআইএম।এই বার্তাও দিয়েছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হবে সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলন।তার আগে অবশ্যই ১৯টি মহকুমা ও ৮টি জেলাতে পৃথকভাবে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সম্মেলনের পর করা হবে প্রকাশ্য সমাবেশ।এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। আগামী এপ্রিল মাসে কেরলে অনুষ্ঠিত হবে সিপিআইএম’র সর্বভারতীয় সম্মেলন।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ঠারে-ঠুরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, চলতি মাসের শেষদিকে আগরতলায় কৃষক-ক্ষেত মজুর ও জুমিয়াদের নিয়ে সমাবেশ করে হবে।জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন,রাজ্য সরকার এই রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি।অথচ রাজ্যের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষক-জুমিয়া।তাদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার।কৃষকদের ধান কেনার নামে চলছে অরাজকতা।এক শ্রেণীর মস্তানরাই ধান ক্রয় করে নিচ্ছে।কৃষকরা পাচ্ছে না ধানের উপযুক্ত মূল্য। জিতেন্দ্র চৌধুরী এদিনের সাংবাদিক বৈঠক করে শাসক দল বিজেপিকে স্পস্ট করে বার্তা দিয়েছেন,সিপিআইএম আর বসে থাকবে না।মিশন ২৩-কে সামনে রেখে শাসক দল ও বিজেপি সরকারকে রাজনীতির বাইশ গজে একের পর এক বাউন্সার দেবে।এখন শাসক দল বিজেপি ও বিপ্লব দেবের সরকার কিভাবে কমিউনিস্টদের এই বাউন্সার প্রতিহত করবে?সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা রাজ্য।