ডেস্ক রিপোর্টার, ১জানুয়ারী।।
২৩- র নির্বাচনের পর রাজনীতির অঙ্গনে চুপসে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদার। রাজনীতিকরা আশঙ্কা করেছিলেন, ফুরিয়ে গিয়েছে মিমির রাজনৈতিক জীবন। কিন্তু না, ভারতীয় জনতা পার্টির নতুন কমিটিতে মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ত্ব পেয়ে মিমি ফের ফিরে এসেছেন রাজনীতির মূল স্রোতে। মিমি মজুমদারের এই নতুন দায়িত্ত্ব জমিয়ে দিয়েছে বাধারঘাট রাজনীতি। এখন পুনরায় বাধারঘাট রাজনীতিতে শুরু হবে মিমি – মীনার জমজমাট লড়াই।বলছেন, বাধারঘাট রাজনীতির পৃষ্ঠপোশোক লোকজন।
বাধারঘাট এক সময় ছিলো মিমি মজুমদারের খাস তালুক।একজন শিক্ষিকা থেকে সরাসরি রাজনীতির অঙ্গনে।হয়েছিলেন বিধায়িকা। তিনি ছিলেন বিপ্লব লবির সৈনিক।কিন্তু ২৩- র ভোটে হিসাব পাল্টে যায়। দল মিমিকে দেয়নি টিকিট। রাজ্য রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। গোটা বাধারঘাটে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল বর্তমান বিধায়িকা মীনা সরকারের গোষ্ঠী। এখনো বহাল মীনা গোষ্ঠীর রাজত্ব।
এই মুহুর্তে মিমি মজুমদার রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ত্ব পেতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে তার গোষ্ঠী। তারাও এখন সামনে দাড়িয়ে লড়াই করবে।কারণ বর্তমানে বাধারঘাট বিজেপির অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভালো নয়। বিধায়িকা মীনা সরকারের আলগা মনোভাবে বিজেপি কয়েকটি উপদলে বিভক্ত। সংগঠনের এই পরিস্থিতিতে মিমি গোষ্ঠী নিঃসন্দেহে বাজার ধরতে চাইবে। মিমিও কাজ করবেন ২৮- র লক্ষ্যে।আগের ভূল – ত্রুটি তিনি সারাই করার চেষ্টা করবেন।পাশাপাশি তিনি পুনরায় জমি আকড়ে ধরার চেস্টা করবেন। এই জন্য মীনার সমান্তরাল সংগঠন সাজাবেন তিনি।ইতিমধ্যেই মিমির লোকজন ময়দানে নেমে গিয়েছে।
মিমি মজুমদার মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে স্পষ্ট হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের ছায়া। মিমি মজুমদারের এই অন্তর্ভুক্তির পেছেনে বিপ্লব গোষ্ঠী সক্রিয় ভাবে কাজ করছে।রাজনীতিকরা বলছেন, বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতির এই সমীকরণ অন্য দিশা দেখাচ্ছে। তাহলে কি পুনরায় বিপ্লব কুমার দেব পুনরায় বিজেপির রাজনীতির গেম মেকার হয়ে উঠেছেন? বিজেপির ঘরেই উঠছে এই কোটি টাকার প্রশ্ন।