ডেস্ক রিপোর্টার, ১৩ফেব্রুয়ারি।।
রাজ্য পুলিশের ডাক সাইটের ডিএসপি প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা। বর্তমানে প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা আছেন টিএসআর’র। প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা নানান সময়েই থাকেন প্রচারের আলোতে। সম্প্রতি আগরতলায় সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা ব্যতীত তেলিয়ামুড়াতে গিয়ে প্রসূন হয়ে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের পোস্টার বয়। সংবাদ মাধ্যমের প্রচারের ফলায় ছিলেন ডিএসপি প্রসূন। তিনি বেশ কিছু ভালো করেছেন। তবে এরকম কাজ পুলিশের মধ্যে শুধু প্রসূন একা করেন নি। অন্যান্য অফিসারাও করে থাকেন। কিন্তু তারা নিজেদের প্রচারের আলোতে তুলে ধরতে পারেন নি।এক্ষেত্রে প্রসূন সবাইকে টপকে গিয়েছেন।
রাজ্য আরক্ষা প্রশাসনের খবর, তেলিয়ামুড়াতে গিয়ে প্রসূন যেভাবে প্রচারে আবিষ্ট হয়েছেন, তার আগে কখনো তিনি এমন প্রচার পান নি। প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার প্রচারের আলোতে থাকার পেছনে মূল রহস্য কি? তার ব্যাখা দিয়েছেন প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার সহকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা নিজেকে যতটা সৎ বলে জাহির করে থাকেন, বাস্তবে তা নন। তেলিয়ামুড়াতে পোস্টিং পেয়ে প্রসূন স্থানীয় কলমচিদের সঙ্গে হাত করে নেন। এবং তাদেরকে মাসিক টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।বিনিময়ে তারা প্রসূন কান্তি ত্রিপুরাকে প্রচার করবেন ঢালাও ভাবে। অভিযোগ, এই সমঝোতার পর থেকেই স্থানীয় কলমচিদের একটা অংশ প্রসূনের প্রচারের জন্য আদা জল খেয়ে মাঠে নেমে যান। তারা প্রসূন কান্তি ত্রিপুরাকে ধারাবাহিক ভাবে প্রচারের আলোতে নিয়ে আসেন। প্রসূনের বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়। স্থানীয় কলমচিদের ম্যানেজের জন্য প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা কোথায় পেলেন অর্থ?
প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার সহকর্মীদের বক্তব্য, প্রসূন বিভিন্ন মাদক কারবারীদের কাছ থেকে নিতেন মোটা অঙ্কের অর্থ। বেশ কয়েকজন কারবারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের একাংশ কলমচিদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করতেন। আর বাদবাকি বড় অংশ তিনি রেখে দিতেন। এই সমস্ত কারবারীদের তিনি কখনো সমস্যা করতেন না।
কিন্তু তাদের বিপক্ষ গোষ্ঠীর মাদক দ্রব্য আটক করেই প্রসূন নিজেকে তুলে ধরতেন প্রচারের আলোতে। তেলিয়ামুড়াতে গিয়ে এই কৌশলেই ডিএসপি প্রসূন কান্তি নিজেকে পুলিশের পোস্টার বয় হিসাবে জহির করার চেষ্টা করেছিলেন।আগরতলাতে আসার পর প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা একেবারে লেজে গোবরে লেগে যান। শেষ পর্যন্ত তেলিয়ামুড়া থেকে আসার এক পক্ষ কালের মধ্যেই প্রসূনকে বিদায় নিতে হয়েছে আগরতলা থেকে।