ডেস্ক রিপোর্টার,২০জুন।।
“নিশ্চিত পরাজয় ভেবেই নাটক মঞ্চস্থ করেছেন সুদীপ রায় বর্মন। সরকারকে কালিমালিপ্ত করে মানুষের সহানুভূতি অর্জনের জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাটকের স্ক্রিপ্ট রচনা করেছেন সুদীপ।” বললেন, রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী । সোমবার বিজেপি’র সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী প্রশ্ন তুলেন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ সুদীপ রায় বর্মন কেন গিয়েছিলেন উজা অভয়নগরে ? সুশান্তর অভিযোগ, বহিরাগত ছেলেদের এমএলএ মজুত করেছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। এই সমস্ত ছেলেদের দিয়েই আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রচার সজ্জা নষ্ঠ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা মণ্ডল সভাপতির বাড়ির সামনে জমায়েত হয়েছিল। তাদের ছিল কুমতলব। মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের।
রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য সুশান্ত চৌধুরীর কথায়,সবটাই ছিল সুদীপ রায় বর্মনের আগাম স্ক্রিপ্ট করা নাটক। পরাজয় নিশ্চিত ভাবে মানুষের সহানুভূতি অর্জনের জন্য এই ঘটনা সংঘটিত করেছেন। সুশান্ত চৌধুরীর বক্তব্য,” সুদীপ রায় বর্মনের উপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাকে জড়িয়ে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে”। মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন সরকারি আবাসে, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ছুটে যান অকুস্থলে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান সুদীপ রায় বর্মনকে। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন, দাদা তুমি কেন এসেছো এসেছো? চলে যাও । এখানে আসা তোমার ঠিক হয়নি। সুশান্ত চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে এই ঘটনায় জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে l
সুদীপকে কটাক্ষ করে সুশান্ত বলেন, নাটক করে জেতা যায় না । গোটা আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের একটিও বুথ অফিস নেই। নেই পোস্টার লাগানোর লোক। মানুষ তাদের বর্জন করেছে। এই অবস্থায় পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।তাই নাটকের আশ্রয় নিয়েছিলেন সুদীপ। মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। নাটক করেও কোন লাভ হবে না। আগামী ২৩ জুন ভোটাররা ভোট দেবেন বিজেপির প্রার্থীকে। সুশান্ত চৌধুরী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে মমতার পা ভাঙ্গার ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এটাও ছিল একটা নাটক। মমতাকেই অনুকরণ করেছেন সুদীপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত নাটকের পড়েও নন্দীগ্রাম থেকে জিততে পারেননি।
সুদীপ রায় বর্মন একই অবস্থা হবে ।পরাজয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ।সুশান্ত চৌধুরী সুদীপের উদ্দেশ্যে বলেন,” তিনি একসময় বলতেন, বামেদের পরাজিত করার জন্য প্রয়োজনে ধর্ম ত্যাগ করবেন। আর এখন বামেদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চলার বার্তা দিচ্ছেন।” মানুষ সুদীপ রায় বর্মনের এই বার্তা তা মেনে নেয়নি। তার প্রমান আগরতলা কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটারের মুখের কথা । সুদীপকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বিজেপি সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন ।তাই বেরিয়েছেন দল ছেড়ে। এই কারণেই আজ আগরতলা কেন্দ্রে উপভোট।
সুশান্ত চৌধুরী বলেন,তার সঙ্গে সুদীপ রায় বর্মন’র এই লড়াই ব্যক্তিগত নয়। এটা দলগত। কিন্তু বিশেষ একটা মহল এটাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ের লড়াই হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।এটা কখনো কাম্য নয়, বলে মনে করেন রাজ্যের এই তরুণ মন্ত্রী। প্রদেশ বিজেপি অফিসে অনুষ্ঠিত এই দিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুধাংশু দাস ও দলের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।