ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮ আগস্ট:
রাজ্যে প্রতিদিন চড়ছে রাজনীতির পারদ।যুযুধান দুই রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি-তৃনমূল।পিছিয়ে নেই সিপিএম ও কংগ্রেস।প্রতিটি রাজনৈতিক দল কাছা কেচে নেমেছে মাঠে।কারণ তাদের সামনেই ভোটের সেমিফাইনাল।অর্থাৎ ঘুরিয়ে বললেন আগরতলা পুর নিগম, অন্যান্য পুর ও নগর সংস্থার ভোট।
রাজ্য নির্বাচন দপ্তর সূত্রের খবর,চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে সংশ্লিষ্ট সংস্থা গুলির নির্বাচনের নির্ঘন্ট। এই বিষয়টি বিলক্ষণ জানেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। নির্বাচন দপ্তরের খবর অনুযায়ী, কোভিড বিধি শিথিল হওয়ার পর থেকেই নির্বাচন দপ্তর তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।কোভিড’র কারণেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির নির্বাচন ঘোষণ করা সম্ভব হয়নি।প্রতিটি সংস্থা চলছে প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে।স্বাভাবিক ভাবেই জন প্রতিনিধি হীন এসব সংস্থার কাজকর্ম এখন ঠেকেছে তলানিতে।সাধারণ মানুষকে নানান ভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে।সব মিলিয়ে ভোট করার জন্য নির্বাচন দপ্তরের কাছে এটাই সুবর্ণ সুযোগ।কারণ পাচ্ছে তাড়া করছে কোভিডের তৃতীয় ওয়েব। দেশ জুড়ে কোভিডের তৃতীয় ওয়েব চাগার দিলে বন্ধ রাখতে হবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া।২০২৩-র ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন।সেই অনুযায়ী সময় অনেক কম।এই কারণেই সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুর ও নগর ভোট শেষ করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর।প্রতিটি বিরোধী দলও রোজই দ্রুত ভোট করার দাবি জানাচ্ছে।
একদিকে যেমন নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় চলছে,তেমনি প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের সাংগঠনিক কার্যকলাপ শুরু করে দিয়েছে।আগরতলা পুর নিগম,পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চাযেত ভোটকে সামনে রেখে ঘর গুছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।মাঝখানে তৃনমূল কংগ্রেস হঠাৎ মাথা চাড়া দেওয়াতে রাজনীতির ময়দান আরো জমজমাট হয়ে উঠেছে। তৃনমূল কংগ্রেস আগরতলা পুর নিগম ভোটে সীমিত শক্তি নিয়ে লড়াই করার ঘোষণা ইতিমধ্যেই দিয়েছে।অর্থাৎ সব মিলিয়ে ভোটের বাজারে বইছে গরম হওয়া। এজন্যই বসে নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন।প্রতিদিন ভোটকে সামনে রেখে তড়িৎ গতিতে কাজ শুরু করেছে।তাই ধারণা করা হচ্ছে চলতি মাসেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে কমিশন।শাসক দল বিজেপিও চাইছে ভোট দ্রুত শেষ করতে।কারণ রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া প্রবল হচ্ছে। এই হওয়া আরো জাকিয়ে বসার আগে ভোট করতে পারলে আক্ষরিক অর্থে যে শাসক দলই লাভবান হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
